পরপর দুই কন্যাসন্তান হওয়ায় পর তৃতীয় সন্তানও কন্যা হওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম কুন্দলিক উত্তম কালে। তার বাড়ি মহারাষ্ট্রের মুম্বাই থেকে ৫২০ কিলোমিটার দূরের গঙ্গাখেড় নাকা এলাকায়। মুম্বাই পুলিশকে লিখিত অভিযোগে মৃতের বোন জানিয়েছেন, তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় তার বোন ময়নাকে উপহাস করতেন কুন্দলিক।
পুলিশ জানিয়েছে, বার বার কন্যা সন্তান হওয়া নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতেও স্ত্রীকে উপহাস করেন কালে। এই নিয়ে বাক-বিতন্ডা হলে ময়নার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন অভিযুক্ত যুবক।
পরে আগুন গায়েই ময়না দৌড়ে বাড়ির বাইরে আসেন। আর্তনাদ করতে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর ঘটনায় দুই শিশু দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে ফারহান (৮) নামে এক শিশুর শরীরের ১৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্য আরেক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাগুলোর সুনির্দিষ্ট বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে জানা যায়, ইংরেজি নতুন বছর বরণে পটকা ফোটানোর কারণে দুই শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে।
আহত শিশুদের পরিবারের বরাত দিয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, নতুন বছর বরণ করতে রাস্তাঘাটে পটকা ফোটানোর কারণে তারা দগ্ধ হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নববর্ষের বার্তায় তাইওয়ান প্রসঙ্গে দৃঢ় অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, "তাইওয়ানকে চীন থেকে আলাদা করা যাবে না।" নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে পুরো তাইওয়ান চীনের একটি অংশ। যদিও তাইওয়ানের জনগণ নিজেদেরকে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ বলে মনে করে। তারপরও তাইওয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রটির চারপাশে বিমান বাহিনী এবং নৌ মহড়া চালিয়ে প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে আসছে চীন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে, বেইজিং তাইপের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েছে এবং দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করার সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
মে মাসে তাইওয়ানের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চীন তিন দফায় বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সামরিক মহড়া ও শক্তি প্রয়োগ করা ছাড়বে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয় বেইজিং।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে বেইজিং যে সামরিক মহড়া চালিয়েছে তা বছরজুড়ে হওয়া মহড়াগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। এছাড়া চীন একাধিকবার তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি তাদের।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার নববর্ষের ভাষণে বলেন, তাইওয়ান প্রণালী ও চীনের জনগণ এক পরিবার। কেউ আমাদের রক্তের বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না। কেউ মাতৃভূমির পুনর্মিলনের ঐতিহাসিক ধারাকে থামাতে পারবে না।
প্রেসিডেন্ট শির মন্তব্য এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে যখন তিন সপ্তাহ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তাইওয়ান বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে বিরোধের একটি মূল বিষয়। তাইওয়ান এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র এবং ওয়াশিংটন তাইপের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীও।
আন্ডারওয়ার্ল্ড সিনেমার জনপ্রিয় তারকা কেট বেকিনসেল সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি শুটিং সেটে যৌন হয়রানির একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি সম্প্রতি ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমার পরিচালক ও সহ-অভিনেতা জাস্টিন বালডোনির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর, সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখেই কেট নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
সেখানে বেকিনসেল জানান, তিনি লাইভলির প্রতি কৃতজ্ঞ। কারণ তিনি এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে এটি একটি পুরনো সমস্যা। এটি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বেকিনসেল তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, একবার তিনি একটি সিনেমার সেটে ‘কন্ট’ নামে সম্বোধিত হন। কারণ তিনি এক পুরুষ সহ-অভিনেতাকে সমালোচনা করেছিলেন। ওই অভিনেতা প্রতিদিন সেটে মদ্যপ অবস্থায় আসতেন। তিনি বলেন, ‘ও সে সময় কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। আমি তার প্রতি সহানুভূতি দেখাই। কিন্তু আমি এবং ক্রু সদস্যরা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতাম তার জন্য। সে ছিল নেশায় আসক্ত। তার সংলাপগুলো আয়ত্ব করতে সময় লেগে যেত। তার জন্য আমার শিডিউল দীর্ঘ হয়ে যেত। কোনো সন্ধ্যাতেই আমি আমার মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে পারতাম না। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করায় সে ক্ষেপে গিয়েছিল। আমাকে অবজ্ঞা ও নোংরা ভাষায় সম্বোধন করা হয়।’
তিনি আরও জানান, দুটি সিনেমার সেটে তাকে কঠোর ডায়েট এবং ব্যায়াম করতে বাধ্য করা হয়েছিল। যার কারণে তার মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও একটি অ্যাকশন সিনেমার শুটিংয়ের সময় তার সহ-অভিনেতা তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছিলেন। তার প্রতিবাদ করতে গেলে সেটে তাকে বয়কট করা হয়।
কেট বেকিনসেল আরও শেয়ার করেছেন, ‘আমার তখন মিসক্যারেজ হয়েছিল। তার পরের দিনই আমাকে একটি ফটোশুটে অংশ নিতে বাধ্য করেছিলেন এক প্রকাশক। আমি যেতে রাজি ছিলাম না, কারণ আমার রক্তপাত হচ্ছিল। কিন্তু সেই প্রকাশক আমাকে মামলার হুমকি দিয়েছিলেন। শিল্পী তো দূর, একজন নারীর প্রতিও তিনি সম্মান দেখাননি।’
বেকিনসেল আরও জানান, ১৮ বছর বয়সে একটি ক্রু সদস্য তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছিলেন। তিনি ঘটনাটি তার সহ-অভিনেত্রীদের জানালে তারা পাত্তা দেননি। এমন ভাব করছিলেন যেন সেটাই নিয়ম।
তিনি জানান, ‘নারী শিল্পীদের প্রতি এমন অসম্মান চিরকাল ধরেই যেন চলতে থাকবে। আমি ৪৭ মিলিয়ন গল্পকে উদাহরণ হিসেবে টানতে পারি। আমি ব্লেক লাইভলির প্রতি কৃতজ্ঞ, যিনি এই বিষয়টি সামনে এনেছেন। তার জন্য আজ নতুন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’