মোদি-পুতিন বৈঠকে ৫০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তির সম্ভবনা
আজ সোমাবার ভারত সফরে এসেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঝালাই করবেন পুতিন। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় হায়দারাবাদ হাউসে দুই নেতার বৈঠক শুরু হয়েছে।
বৈঠকে ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যত সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে আশ্বস্ত করে পুতিন বলেন,'আমরা ভারতকে একটি শক্তিশালী দেশ বলে গণ্য করি। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম একটা দেশ, সেটা প্রমাণিত। ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে, এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে, আমি সেটা বিশ্বাস করি।'
মোদি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করে বলেন, ভারত আর রাশিয়ার সম্পর্কের কোন তুলনা হয় না। আমাদের বন্ধুত্ব পারস্পারিক নির্ভরযোগ্যতার উদাহরণ।'
বৈঠকে প্রতিরক্ষা, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। সই হবে একাধিক চুক্তি। তবে পুতিনের এই সফরে আলাদা করে নজর কাড়ছে প্রতিরক্ষা খাতের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের চুক্তি।
রুশ প্রেসিডেন্ট মাত্র কয়েক ঘন্টার সফরে সোমবার দুপুরের ভারতে পৌঁছান। রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত শতকে স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যায় মস্কো সব সময় দিল্লির পাশে ছিল।
রাশিয়া ভারতের অন্যতম অস্ত্র সরবরাহকারী। অস্ত্র কেনাবেচায় দুই দেশের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। ভারত এখন তার অস্ত্রসম্ভার আধুনিক করতে চাইছে। আধুনিক করতে চাইছে সশস্ত্র বাহিনীকে। এ জন্য রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে দিল্লি। এর আওতায় রাশিয়ার কাছ থেকে দূরপাল্লার এস–৪০০ ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিনেছে ভারত।
এই চুক্তির আর্থিক মূল্য ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। ২০১৮ সালেই সই হয়ে রয়েছে প্রাথমিক চুক্তিটি। পুতিনের এবারের সফরে চূড়ান্ত রূপ পাবে সেটি। ভারতে পৌঁছে যাবে রাশিয়ার অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০।
আগামী বছরের শুরুর দিকে এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অন্তত দুটি ইউনিট দেশটির উত্তর ও পূর্বে চীন সীমান্তে মোতায়েন করবে ভারত। এছাড়া এই চুক্তির আওতায় উত্তর প্রদেশের আমেথির অস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একে-৪৭ স্বয়ংক্রিয় রাইফেল তৈরি করবে ভারত।
তবে এই চুক্তি নিয়ে দিল্লি ও মস্কো আরও কাছাকাছি এলেও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
কেএফ/