মিস সুইজারল্যান্ডকে হত্যার পর দেহ টুকরো টুকরো করে মিক্সারে ব্লেন্ড করলেন স্বামী
ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিক এবং তার স্বামী থমাস। ছবি: সংগৃহীত
২০০৭ সালের মিস নর্থওয়েস্ট সুইজারল্যান্ডের ফাইনালিস্ট ও বিজয়ী ক্রিস্টিনা জোকসিমোভিকের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া গেলো লন্ড্রি রুমের একটি বিন ব্যাগে। পাশের ঘরেই খেলছিলো তার দুটি ছোট সন্তান। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৮ বছর বয়সী ক্রিস্টিনাকে বাসেলের কাছে তার বাড়িতে শ্বাসরোধ করে মারা হয়। এরপর তার মাথা কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। অবশেষে, সেই টুকরো করা মাথা রান্নাঘরের ব্লেন্ডার দিয়ে আরও ক্ষুদ্র অংশে কাটার পর বিন ব্যাগে রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ক্রিস্টিনা স্বামী থমাস। তার নামে স্থানীয় থানায় ইতোমধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনার আগে, ক্রিস্টিনার বাবা-মা বেশ কয়েকবার মেয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর মেয়ের স্বামীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন তারা। তবে, কোনভাবেই যোগাযোগ করছিলো না থমাস।
মেয়ের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে ক্রিস্টিনা-থমাসের বাড়িতে যান তার বাবা-মা। বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘর খুঁজে বেড়ান মেয়েকে। নাতী-নাতনিকে পাশের রুমে খুঁজে পেলে-ও তাদের মাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তারা। অবশেষে, লন্ড্রি রুম খুঁজতে গিয়ে বিন ব্যাগে মেয়ের গলাকাটা মরদেহ খুঁজে পান তারা।
প্রসঙ্গত, সর্বপ্রথম ক্রিস্টিনার সন্তানদের নার্সারি স্কুল থেকে ফোন করা হয়। ক্রিস্টিনার বাবা-মা নার্সারি থেকে জানতে পারেন যে, তিনি ঐদিন বাচ্চাদের নিতে স্কুলে যাননি।