ইয়েমেনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৬ সেনা নিহত
ছবি: সংগৃহীত
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় আবইয়ান প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৬ জন সরকারি সৈন্য নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আল জাজিরা শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি) মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-নাকিব বলেন, হামলাকারী শুক্রবার মুদিয়াহ জেলায় বোমা সংযোজিত একটি গাড়ি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি স্থানে প্রবেশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট গোয়েন্দা দলের তথ্য মতে, আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) এক বিবৃতিতে এই অভিযানের দায় স্বীকার করেছে।
তারা বলেছে, একজন বোমারু একটি গাড়িতে স্বতন্ত্র বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) সামরিক পোস্টে বিস্ফোরণ ঘটায়।
২০০৯ সালে আল-কায়েদার ইয়েমেনি ও সৌদি উপদলের একীভূতকরণ থেকে গঠিত একিউএপি। ইয়েমেনের যুদ্ধের বিশৃঙ্খলার মধ্যেই এর বেড়ে ওঠে এবং বিকশিত হওয়া।
একিউএপি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ ইয়েমেনে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত এসটিসির ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। গত মার্চ মাসে আবিয়ান প্রদেশে এক হামলায় দুই যোদ্ধা নিহতের ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল একিউএপি। এই বছরের শুরুর দিকে একিউএপি তাদের নেতা খালিদ বাতারফির মৃত্যুর ঘোষণা দেয়। তবে কীভাবে তিনি মারা যান, তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি সংস্থাটি। পরে তার স্থলাভিষিক্ত হন সাদ আল-আওলাকি।
গোষ্ঠীটি ইয়েমেনে তার প্রভাব বাড়াতে ইরানের মিত্র হুথি ও সৌদি-সমর্থিত জোটের মধ্যে নয় বছরের যুদ্ধকেও ব্যবহার করেছে। এসটিসি হুথিদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনি সরকারের পক্ষে সমর্থন জানালেও ১৯৯০ সালে একত্রিত হওয়া দক্ষিণ ইয়েমেনের স্বাধীনতা চায়।
এদিকে ইসরায়েল ইস্যুর মধ্যে ইয়েমেনে একিউএপির এ হামলা দেশটিতে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে গত মাসে ইয়েমেনের বন্দর শহর হোদেইদাহ আক্রমণ করে ইসরায়েল। তেল আবিবের এই আক্রমণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়।
হুথিরা নিজেদের ইয়েমেনের সরকারি সশস্ত্র বাহিনী হিসাবে উপস্থাপন করে। তারা লোহিত সাগরে শিপিং লেনগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে চলছে। তাদের দাবি, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েল চাপ দেওয়াই এই অভিযানের উদ্দেশ্য।