ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা, গাজায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৫
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরও অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি তাণ্ডব থামছে না। প্রতিদিন নিরিহ মানুষের রক্ত ঝরছে দখলদার ইসরাইলি হামলায়। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভয়াবহ হামলায় নারী-শিশুসহ ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ সময় বাড়ী-ঘরে আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফা শহরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। খবর আল জাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু যাদের ওপর ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত লোকদের তাঁবু ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামাস যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী স্বীকার করেছে, হামলায় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছেন এবং এই ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৮০ হাজার ৬৪৩ জন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এসবে তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে।
হামলার শুরুর পর ইসরায়েলি ঘোষণার প্রেক্ষিতে রাফাহ এলাকায় অবস্থান নেয় কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি। পরে ইসরায়েল সেখানেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলে ফিলিস্তিনিরা রাফা ছেড়ে সরে অন্যত্র যান।