বরিসের বিরুদ্ধে নিজ দলের এমপিদের অনাস্থা
লকডাউনের নিয়ম অমান্য করে নিজের সরকারি বাসভবনে মদ্যপানের আয়োজন করে নিজ দলের কাছে আস্থা হারিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ঘটনায় নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ এমপিরাও বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে চিঠি পাঠাতে যাচ্ছেন। এই চিঠি এমন একসময় পাঠানো হচ্ছে, যখন বরিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে।
বরিসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। খবরে বলা হয়েছে, তারা জানতে পেরেছে, পার্লামেন্টের জ্যেষ্ঠ এমপিরা (ব্যাকবেঞ্চাররা) সম্মিলিতভাবে বরিসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনতে যাচ্ছেন।
বরিসের বিরুদ্ধে ৭০ জনের বেশি এমপি ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই ডজনের বেশি সাবেক মন্ত্রীও রয়েছেন।
বরিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু করছেন যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সু গ্রে। যদিও ওই তদন্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি। চলতি সপ্তাহেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতে পারে।
তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে গত বুধবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কোভিড বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে পার্টি আয়োজনের অভিযোগে অভ্যন্তরীণ তদন্তের প্রতিবেদন শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও বলেন, 'ওই তদন্ত প্রতিবেদন বরিস জনসনের কাছে এখনো যায়নি। তদন্তের ফল প্রকাশ হওয়ার আগপর্যন্ত জনগণের অপেক্ষা করা উচিত।'
এর আগে মঙ্গলবার লন্ডন পুলিশ ঘোষণা দেয়, তারা প্রধানমন্ত্রী বরিসের ডাউনিং স্ট্রিট কার্যালয় এবং শীর্ষ সরকারি দপ্তরগুলোতে লকডাউনের সময় পার্টি আয়োজনের বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে তদন্ত শুরু করেছে।
তবে বরিসের পার্টি আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নতুন এমপিরা। তারা এটাকে ষড়যন্ত্র বলেও প্রচার করছেন।
২০২০ সালের ১৯ জুন বিধি লঙ্ঘন করে ডাউনিং স্ট্রিটে জন্মদিনের আয়োজনের বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন বরিস জনসন। তবে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
কেএফ/