গাজার ১১ লাখ শিশুর জীবন ঝুঁকিতে: জাতিসংঘ
ছবি সংগৃহীত
বিধ্বস্ত নগরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা। তিন মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ২২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দশ হাজারই শিশু।
এদিকে জাতিসংঘ এক সতর্কবাণীতে বলছে, তিন মাসের সংঘাতে গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি জনপদ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং এই অঞ্চলের ১১ লাখ শিশুর জীবন ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। এএফপির সংবাদদাতারা জানান, শনিবার সকালেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র ওপর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত ছিল। এই শহরে উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা হাজারো ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করেছে, 'গাজার ১১ লাখ শিশুর জীবন ঝুঁকিতে আছে'। এর পেছনে ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠা সংঘাতের মুখোমুখি হওয়া, অপুষ্টিতে ভোগা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়াকে মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি।
ইসরায়েলি হামলায় গাজার বেসামরিক মানুষরাই মূলত ভোগান্তিতে পড়ছেন। জাতিসংঘ আরও জানায়, এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে এবং নানা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ে বড় আকারের মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
গাজার কেন্দ্রে অবস্থিত বুরেজি রিফিউজি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রাফাহ এসেছেন ফিলিস্তিনি নাগরিক আবু মোহাম্মেদ (৬০)। তিনি এএফপিকে জানান, গাজার ভবিষ্যৎ 'অন্ধকারাচ্ছন্ন, হতাশাজনক ও খুবই জটিল'।
সর্বাত্মক ও নির্বিচার হামলায় গাজার বেশিরভাগ স্থাপনাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের জরুরি মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথ বলেন, 'গাজা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে'।
শুক্রবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, গাজা উপত্যকার উত্তর, দক্ষিণ ও কেন্দ্রের সব অংশে ইসরায়েলি বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
Intensifying conflict, malnutrition and disease in the Gaza Strip is creating a deadly cycle threatening over 1.1 million children.
— UNICEF (@UNICEF) January 5, 2024
The world cannot stand by and watch. The violence and the suffering of children must stop. https://t.co/aYCZyw68Ae
বৈরুতে হামাসের এক শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পর থেকে তারা লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে উচ্চ পর্যায়ের সতর্কাবস্থা বজায় রেখেছেন বলেও নিশ্চিত করেন হাগারি।
ইসরায়েল এই হামলার দায় না নিলেও যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, ইসরায়েলই এই হামলাটি পরিচালিত করেছে।