সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

গোয়েন্দা স্যাটেলাইটে পেন্টাগন-হোয়াইট হাউসের ছবি দেখলেন কিম

স্পেস এজেন্সির কর্মকর্তাদের সাথে কিম। ছবি : সংগৃহীত

বৈশ্বিক কক্ষপথে প্রথমবারের মতো গেয়োন্দা স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এবার সেই গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাপ্তরিক বাসভবন হোয়াইট হাউস ও দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের ছবি তুলেছে। আর সেসব ছবি দেখেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, স্যাটেলাইটের পাঠানো এসব ছবি দেখেছেন কিম জং উন। এটি হোয়াইট হাউস, পেন্টাগনসহ নরফক নৌঘাঁটিতে বিমানাবাহী রণতরীর ছবি পাঠিয়েছে। এ সময় বিশ্বকে নতুন বার্তা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলছে, আমরাও তোমাকে দেখতে পারি।

গত সপ্তাহে নিজেদের গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি নজরদারির জন্য এটিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি পেন্টাগন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরও নজরদারি চালিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, পিয়ংইয়ং এখনও পর্যন্ত এসব অঞ্চেলে নজরদারি করলেও তারা এসবের কোনো ছবি প্রকাশ করেনি। ফলে এটির সক্ষমতা আসলে কতটা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণের পর এখনও এটির কার্যকারিতা ও সক্ষমতা যাচাই-বাছাই করা হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।

ওই সময়ে কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলসহ মুখপো, কুনসান, পিইংটেক এবং ওসান শহরের ছবি পরীক্ষা করেছেন। এসব এলাকায় মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। শুক্রবার সকালে স্যাটেলাইটটি এ অঞ্চল অতিক্রম করার সময় ছবিগুলো তুলেছে।

শুক্রবার কিম নিজে উত্তর কোরিয়ার জাতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এসব ছবি পর্যবেক্ষণ করেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ স্যাটেলাইটটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনশনের ছবিও ‍তুলে পাঠিয়েঠে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের একটি বন্দরে গত মঙ্গলবার এসে পৌঁছেছে। এরপর এটি শনিবার সকালে এটি হাওয়াই পাড়ি দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়া এ গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর ওকিনাওয়া জেলার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে সতর্কতা জারি করে জাপান, যা ৩০ মিনিট স্থায়ী ছিল। এরপর এ সতর্কবার্তা তুলে নেয় জাপান। উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপটিকে জাতিসংঘের একাধিক রেজুলেশনের ‘নির্লজ্জ লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস।

Header Ad
Header Ad

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব ঈদ জামাতে অংশগ্রহণকারী, প্রবাসী শ্রমিক ও নারীসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। তিনি বলেন, "ঈদ নৈকট্য ও ভালোবাসার দিন। আমাদের মধ্যে যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটিকে স্থায়ীভাবে গড়ে তুলতে চাই।"

সোমবার (৩১ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের পর দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি বলেন, "সব প্রতিকূলতার মধ্যেও ঐক্য অটুট রাখতে হবে। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের মধ্য দিয়েই আমরা বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।"

জাতীয় ঈদগাহে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ঈদের জামাত উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর হাইকোর্টসংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করেন। একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্তেও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত প্রধান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুত করা হয়। প্রায় ৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের এই মাঠে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

সিয়াম সাধনার এক মাস শেষে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরছেন অনেকে। যদিও ঈদযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ, তবুও ঈদের সকালেও রাজধানী ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন বহু মানুষ।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর ফকিরাপুল বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তেও অনেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। তবে পর্যাপ্ত পরিবহন সেবা না থাকায় কিছু যাত্রী বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

ফকিরাপুলের শ্যামলী কাউন্টারের ম্যানেজার মিঠু বলেন, "সকাল ৯টায় আমাদের একটি বাস ছেড়েছে, এরপর আবার বিকালে বাস চলবে। ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহার সকালে যাত্রী বেশি থাকে।"

এদিকে, গ্রীন লাইন পরিবহণের ম্যানেজার সৌমিত্র জানান, তাদের বিভিন্ন রুটে সারাদিন বাস চলবে। তিনি বলেন, "আজ সকাল থেকেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। বেশিরভাগ পরিবহন বন্ধ থাকায় চাপও বেশি।"

চট্টগ্রামগামী যাত্রী ফরিদুল ইসলাম বলেন, "আগেই বাড়ি ফেরার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় পারিনি। শেষ মুহূর্তে ছুটি পেয়ে ঈদের সকালেই রওনা হলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত বাড়ি পৌঁছাতে পারবো।"

ইয়াসমিন নামের এক যাত্রী বলেন, "ভেবেছিলাম ঢাকাতেই ঈদ করবো, কিন্তু বাচ্চারা মামাবাড়ি যেতে বায়না ধরায় যেতে হচ্ছে। বাস সংকট থাকলেও আলহামদুলিল্লাহ, সিট পেয়েছি।"

শেষ মুহূর্তেও যারা গ্রামে ফিরছেন, তারা পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মুখিয়ে আছেন।

Header Ad
Header Ad

ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দানবীয় হামলায় কেঁপে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। সোমবার (৩১ মার্চ) আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকা ৮ চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী এবং জাতিসংঘের একজন কর্মচারীও রয়েছেন। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা (আইএফআরসি) এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ হাজারো মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

ঈদের দিনেও গাজার আকাশজুড়ে বোমা বিস্ফোরণ ও কামানের গোলার শব্দ। শিশুরা নতুন পোশাকের বদলে ক্ষুধার্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। ঘরবাড়িহীন মানুষরা আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে, কিন্তু নিরাপদ স্থান নেই কোথাও।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "ঈদের দিন যেখানে ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করত, সেখানে আজ কেবল ধ্বংসস্তূপ আর আর্তনাদ।" গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে মানুষের জন্য ঈদ এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাধা সত্ত্বেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
ঈদের সকালেও নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ
ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬৪ ফিলিস্তিনি
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া