সর্বোচ্চ সতর্কতায় যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর সেনা মোতায়েন
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা শক্তিগুলোর মধ্যে সার্বিক ঐক্য ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর সোমবার (২৪ জানুয়ারি) তিনি এই ঘোষণা দেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, ন্যাটোকে শক্তিশালী করতে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য সাড়ে আট হাজার সৈন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যেভাবে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে এবং প্রতিদিন উত্তেজনা বাড়াচ্ছে তা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ন্যাটোও পূর্ব ইউরোপে সেনা মোতায়েন করছে।
গতকাল ন্যাটো জানিয়েছে, পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হচ্ছে। ইউক্রেন সীমান্তে তারা কড়া নজর রাখছে।
ইউরোপ ও ন্যাটোর মিত্রদের সঙ্গে এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের ভিডিও কনফারেন্স শেষে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। ইউরোপের সব নেতাই সার্বিকভাবে সববিষয়ে সম্মত হয়েছেন।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান রুশ শত্রুতা মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক ঐক্যের গুরুত্ব বিষয়ে সকল নেতাই সম্মত হয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, ‘দৃশ্যমান উত্তেজনা কমানোর বিষয়টি রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে।’ ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মস্কোর যে কোনো আগ্রাসনের জন্য তাকে কঠোর মূল্য দিতে হবে।’
কনফারেন্সে ফ্রান্স, ইতালি, পোল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারাও অংশ নেন।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার প্রায় এক লাখ সৈন্য জড় করার প্রেক্ষাপটে পশ্চিমা বিশ্বসহ যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, কিয়েভে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে মস্কো; কিন্তু রাশিয়া দাবি করেছে, আত্মরক্ষার স্বার্থে তারা সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সাথে রাশিয়ার তীব্র উত্তেজনা চলছে।
এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে রাশিয়ার উপর অবরোধের বিশ্বাসযোগ্য হুমকি তৈরিতে ট্রান্স আটলান্টিক ঐক্য বজায় রাখতে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর এই পদক্ষেপ স্বাভাবিকভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাশিয়া। সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রান্স অ্যাটলান্টিক মিলিটারি লাল দাগ পার করলে রাশিয়া কড়া ভাষায় তার জবাব দেবে।
রাশিয়ার দাবি, সীমান্তে নিরাপত্তার খাতিরেই তারা সেনা মোতায়েন করেছে। যুদ্ধের কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তবে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র আগ্রাসন দেখালে তারাও ছেড়ে কথা বলবে না।
এসএ/