শপথ নিলেন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন আয়েশা মালিক। মানবাধিকার কর্মীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন যে, দেশটিতে বিভিন্ন আইনের ক্ষেত্রে নারীরা অবহেলিত হচ্ছেন। এমন একটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি হিসেবে কোনো নারীর দায়িত্ব নেওয়ার ঘটনাকে যুগান্তকারী বলেই উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) আয়েশা মালিককে শপথবাক্য পাঠ করান দেশটির প্রধান বিচারপতি।
গত ৬ জানুয়ারি দেশটির জুডিশিয়াল কমিশন আয়েশা মালিককে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিক প্রথম নারী হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পেয়েছেন।
রাজধানী ইসলামাবাদে শপথ গ্রহণ করেন আয়েশা মালিক। সেখানে তিনি আরও ১৬ জন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে বসে শপথ নেন। আইনজীবী এবং নারী অধিকার কর্মী নিঘাত দাদ বলেন, এটি একটি বড় পদক্ষেপ। পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় এটি একটি ইতিহাস তৈরি করেছে।
আয়েশা মালিক হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় লাহোর শহরে অবস্থিত হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত বছর নারীদের কুমারীত্ব পরীক্ষাকে অবৈধ ঘোষণা করেন তিনি। নারীদের ওপর এ ধরনের পরীক্ষা চরম অসম্মানজনক। ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এমন নারীদের উপর এ ধরনের পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মামলায় ন্যায়বিচার পেতে পাকিস্তানের নারীদের অনেক লড়াই করতে হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত নারীদের সহযোগিতা না করে বরং তাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এতে বিচার পাওয়ার বদলে নারীদের নানাভাবে অসম্মানিত হতে হয়।
নারী অধিকারকর্মী এবং আইনজীবী খাদিজা সিদ্দিকি বলেন, ‘তিনি বিচার ব্যবস্থার সব বাধা ভেঙে ফেলেছেন। এর ফলে অন্য নারীরাও সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাবেন।’
এসএ/