ইরানের নারী মানবাধিকার কর্মীর ৮ বছর কারাদণ্ড
ইরানের প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী নার্গেস মোহাম্মদীকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৭০ বেত্রাঘাতেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
২০২১ সালের নভেম্বরে নার্গেস মোহাম্মদীকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করে ইরানের পুলিশ। এর আগে মানবাধিকারকর্মী নার্গেস ২০২০ সালের অক্টোবরে কারাগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু এক বছর পর ২০২১ সালের নভেম্বরে ফের তাকে কারাজে এক বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নার্গেস ২০১৯ সালে বিক্ষোভে নিহত এক ব্যক্তির প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন।
ইরানের এই মানবাধিকার কর্মীর স্বামী তাঘি রহমানি ফ্রান্সে বসবাস করছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, মাত্র পাঁচ মিনিট শুনানির পর তার স্ত্রীকে শাস্তির এই রায় দিয়েছে আদালত। নার্গেসের বিরুদ্ধে উভয় রায়ের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
মানবাধিকারকর্মী নার্গেস মোহাম্মদী শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদির সহকর্মী ছিলেন। শিরিন বর্তমান ইরানের বাইরে বসবাস করছেন।
আরাবিয়া নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর যাবত ইরান মোহাম্মদীকে কয়েকবার কারাদণ্ড প্রদান করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নার্গেস মোহাম্মদীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেছিল, কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাচারমূলকভাবে শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ মানবাধিকার কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ইরানের কর্তৃপক্ষ গত বছর নার্গেস মোহাম্মদীকে ইরানের ইসলামিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালানোর দায়ে ৩০ মাসের কারাদণ্ড এবং ৮০টি বেত্রাঘাত মারার রায় দিয়েছিল।
দেশটিতে মৃতু্যদন্ডের বিরোধিতা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন ৪৯ বছর বয়সি নারগেস। পদার্থবিজ্ঞানের গবেষক এবং দুই সন্তানের মা নারগেসকে ২০১৫ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর থেকে জেলেই ছিলেন। তবে গত অক্টোবরে মুক্তি পান।
কেএফ/