বিতর্কিত মন্তব্য করে জার্মান নৌবাহিনী প্রধানের পদত্যাগ
ইউক্রেন সংকট নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন জার্মান নৌবাহিনীর প্রধান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
ভাইস অ্যাডমিরাল কে-আচিম শোয়েনবাখ গত শুক্রবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন। এরপর শনিবারই তিন পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগের পর শোয়েনবাখ স্পষ্ট করে বলেন, তার মন্তব্যগুলো জার্মান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে না।
কে-আচিম শোয়েনবাখ ওই আলোচানায় বলেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে চায়, এটি নির্বোধ কথাবার্তার মতোই ধারণা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
এদিকে, জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভাইস অ্যাডমিরাল শোয়েনবাখ পদত্যাগ করেছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
পরে নয়াদিল্লির ওই অনুষ্ঠানের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে শোয়েনবাখকে বলতে শোনা যায়, পুতিন যা চেয়েছিলেন, তা হলো সম্মান।
শোয়েনবাখ বলেছিলেন, তিনি (পুতিন) যে সম্মান চান, তাকে তা দেওয়া সহজ। সম্ভবত এই সম্মান তার প্রাপ্য।
শোয়েনবাখ আরও বলেছিলেন, ক্রিমিয়া উপদ্বীপ, যা ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে কেড়ে নেয় রাশিয়া, তা চলে গেছে। সেটি আর ইউক্রেনে ফিরে আসবে না।
শোয়েনবাখের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে শনিবার কিয়েভে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শোয়েনবাখের মন্তব্যকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করে ইউক্রেন।
ইউক্রেন সীমান্তে সেনাসমাবেশ করেছে ক্রেমলিন। যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতেই রাশিয়ার এই প্রস্তুতি।
তবে মস্কো এই সেনাসমাবেশকে রুটিন কাজের অংশ বলে দাবি করে আসছে।
ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা কমাতে শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ওই বৈঠকের পর দেশ দুটি জানায়, তারা ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা হ্রাসের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।