ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হামলায় নিহত ২০
ইয়েমেনে হুতিদের স্থাপনা লক্ষ্য করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এতে বেসামরিক মানুষসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। হুতিদের গণমাধ্যম ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এ হামলা চালানো হয়। বার্তা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত দুই বছরের মধ্যে এটি অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এ হামলা চালানো হয়। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, হুতিদের সামরিক শাখার নেতা আবদুল্লাহ কাশিম আল-জুনাইদের বাসভবনে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ওই নেতার স্ত্রী-ছেলেসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। জুনাইদ হুতির এভিয়েশন কলেজের প্রধান ছিলেন।
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাহিনীও রয়েছে। দেশটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হুতি বিদ্রোহীরা। গত সোমবারের এ হামলায় তিনজন নিহত হন। এ হামলার পর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী গতকাল বিমান হামলা চালায়।
সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার সৌদি আরবকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হুতিরা। এমন আটটি ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সানায় হামলার পর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফানে ডুজারিখ বলেন, সোমবারের হামলারও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।
ডুজারিখ আরও বলেন, আন্তোনিও গুতেসের আবারও সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তেজনা ও সহিংসতা যাতে আর বৃদ্ধি না পায়, সে আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে সোমবারের হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূত লানা নুসেইবেহ বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেবে নিরাপত্তা পরিষদ।’ তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে এ নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক হতে পারে নিরাপত্তা পরিষদে।
এদিকে গতকাল সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সানা ও হুতির শক্ত অবস্থান রয়েছে—এমন জায়গায়গুলোয় হামলা শুরু করা হয়েছে।
টিটি/