করোনা: রাশিয়ায় এক মাসে রেকর্ড মৃত্যু
ছবি : সংগৃহীত
অক্টোবর মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাশিয়ায় প্রায় ৭৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর রাশিয়ায় এটিই এক মাসে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ওই প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, করোনার ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করার অভিযোগ রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল রাতে অক্টোবর মাসের প্রাণহানির তথ্য প্রকাশ করেছে রোস্তাত। এ ছাড়া রাশিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কত মানুষ মারা গেছেন, সে সংখ্যাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
রোস্তাতের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এ সংখ্যা রাশিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া সংখ্যার তুলনায় বেশি। সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুসারে, মৃত মানুষের এ সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। তবে মৃত্যু ৫ লাখ ২০ হাজার হলে মৃত্যুর দিক তৃতীয় অবস্থানে চলে যাবে দেশটি।
রাশিয়ায় তদন্তের পর যে মৃত্যুগুলোর প্রাথমিক কারণ ‘করোনার সংক্রমণ’ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, শুধু সেগুলোই সরকারি তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। তবে রোস্তাত আরও বিস্তৃত পরিসরে তালিকাটি করেছে। এখানে ভাইরাসের সংক্রমণজনিত পরবর্তী জটিলতার কারণে মৃত্যুগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি টিকা নিবন্ধন পায়। পরে বেশ কয়েকটি দেশে এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালে কঠোর লকডাউন শেষ হওয়ার পর মস্কো কর্তৃপক্ষ নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ব্যাপারে অনাগ্রহী ছিল। ধুঁকে ধুঁকে চলা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য বিধিনিষেধের পরিবর্তে টিকাদানের প্রতি জোর দিয়েছে তারা। তবে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রুশ কর্তৃপক্ষের বারবার আহ্বান সত্ত্বেও মাত্র ৪০ শতাংশ নাগরিক টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন।
এদিকে রাশিয়ায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এক সপ্তাহের জন্য দেশজুড়ে ছুটি ঘোষণা করেছেন পুতিন। বেতনসহ এ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মস্কোতে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সেবাগুলো ১১ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
টিটি/