তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃত্যু ছাড়াল ৪৫ হাজার
তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে তুরস্কে ৩৯ হাজার ৬৭২ এবং সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আল-জাজিরা তাদের সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে মৃত্যুর এ সংখ্যা জানায়।
এদিকে ভূমিকম্পের ১২তম দিনে এসে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপ থেকে। উদ্ধার হওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৪৫ বছর।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্প আঘাত হানার পর থেকে চলছে উদ্ধার অভিযান। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। একই সঙ্গে চলছে উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণ সহায়তা। এর অংশ হিসেবে জাতিসংঘের ত্রাণ নিয়ে ১৭৮টি ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় গেছে। এগুলোতে জাতিসংঘের ৬টি সংস্থার বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী রয়েছে।
‘শতাব্দীর ভয়াবহতম’ এ ভূমিকম্পে মোট ৫০ হাজার ৫৭৬টি ভবন পুরোপুরি ধসে পড়েছে অথবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ এ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত মুছতে আরও বহুদিন লেগে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউনিয়ান অব চেম্বারস অব তুর্কি ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টসের (টিএমওবিবি) সভাপতি ইয়ুপ মুহকু বলেছেন, বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে ‘উল্লেখযোগ্য সময়’ লেগে যাবে।
জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রতিক মূল্যায়ন অনুসারে, ৫০ হাজার পরিবারের তাঁবু বা জরুরি আশ্রয় প্রয়োজন। সেইসঙ্গে অন্তত ৮৮ হাজার পরিবারের গদি, তাপীয় কম্বল এবং পোশাক প্রয়োজন।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, ভূমিকম্পে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ১ হাজার ৫৮৯ শিশুকে সরকার বিশেষভাবে যত্ন নিচ্ছে। যার মধ্যে ২৪৭ জন এখনো চিহ্নিত হয়নি।
আরএ/