বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তুরস্কের ভূমিকম্পের জন্য কি আমেরিকার হার্প দায়ী?

হাই ফ্রিকুয়েন্সি অ্যাক্টিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম সংক্ষেপে হার্প (HAARP)। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি গবেষণা প্রকল্প যা ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়। উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তর বা আয়োনোস্ফিয়ারে এ গবেষণা চালানো হয়।

তবে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে পুরো বিশ্বেই বিতর্কিত মতবাদ প্রচলিত আছে। অনেকেই এই প্রযুক্তিকে দানবীয় প্রযুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের দাবি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি দেশের বা পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে কৃত্রিম উপায়ে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, এমনকি ভূমিকম্পসহ মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের পর এই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে সমালোচনার ঝড়। সবাই আঙুল তুলছে আমেরিকান হার্প প্রযুক্তির দিকে। বলা হচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতির বিরোধীতার অংশ হিসেবে তুরস্ককে উচিত শিক্ষা দিতেই হার্প প্রযুক্তির অপব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় আকাশে বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন তাত্ত্বিকেরা। সেনঝিনা বোয়াহেন নামে এক নারী এমন একটি ভিডিও টুইট করে লিখেছেন 'তুরস্কের ভূমিকম্প ন্যাটো বা যুক্তরাষ্ট্রের একটি শাস্তিমূলক অভিযানের মত দেখাচ্ছে।' তার দাবি ভূমিকম্পের সময় সাধারণত বজ্রপাত দেখা যায় না কিন্তু হার্প অপারেশনের সময় দেখা যায়।

তবে ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন ভূমিকম্পের সময় বজ্রপাত হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। এ নিয়ে অযথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কেবল বহির্বিশ্বে নয়, বাংলাদেশেও হার্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, ছড়ানো হচ্ছে গুজব।

বিতর্কিত তাত্ত্বিকরা আরও সমালোচনায় জড়িয়েছেন এই বলে যে, তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার একদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তুরস্কে তাদের কনসালটেন্ট বন্ধ করে দেয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মত কৃষ্ণসাগরের কাছাকাছি আসে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ। ভূমিকম্পের পূর্বে এহেন কার্যকলাপগুলোকে যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন তারা।

তাদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে আসছে। রাশিয়ার সাথে তুরস্কের ঘনিষ্ঠতা চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির। তুরস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে ঢুকাতে চায় তারা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় একই অঞ্চলের তুরস্ক, সিরিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ইজরাইল ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।

তুরস্কে ভূমিকম্প
গেল ৬ ফেব্রুয়ারি এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয় তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা কাহরামানমারাস। তুরস্কের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সময় সকাল ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কাহরামানমারাস অঞ্চলের ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ৪ মাত্রার। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে এই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন ১৪ হাজার জন ও সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন। এর আগে তুরস্কে ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পেও প্রায় ১৮ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।

হার্প বিতর্ক
হার্প নিয়ে বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার হার্প প্রযুক্তিকে দোষারোপ করা হয়েছে। এই বিতর্ক শুরু হয় মূলত ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্পের পর। এ ছাড়াও ২০১০ সালে চিলিতে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১১ সালের জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১৩ সালে ওকলাহোমায় টর্নেডো এমনকি ২০০৬ সালে ফিলিপাইনে ভূমিধসে হাজারেরও বেশি নিহতের ঘটনার জন্য হার্প প্রযুক্তিকে দায়ী করা হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রযুক্তির প্রভাব বিষয়ে হার্পের দিকে আঙুল তুলেছেন বিশ্ব নেতারাও। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদেনিজাদ ২০১০ সালে পাকিস্তানের বন্যার কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্প প্রকল্পের বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় তরঙ্গকে অভিযুক্ত করেছিলেন। একই বছর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ হার্পকে টেকটোনিক অস্ত্র আখ্যা দিয়ে হাইতির ভূমিকম্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রকল্পকে দায়ী করেছিলেন।

তবে এসব বিতর্ক বরাবরই অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইউএসএ টুডে। তারা হার্পের একাধিক গবেষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। তাদের দাবি আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তনের কোনো সক্ষমতাই হার্প প্রযুক্তির নেই। আর আবহাওয়াবিদ এবং জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বড় আকারের আবহাওয়া কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না।

এসব বিতর্কের তোপের মুখে ২০১৪ সালে হার্পের গবেষণা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। তবে বৈজ্ঞিনাকি গবেষণার প্রয়োজনে পরে তা আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ আলাদা বিট দিয়ে গঠিত, যাকে প্লেট বলা হয়, যা একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান করে। এই প্লেটগুলি প্রায়শই নড়াচড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাশে থাকা অন্য আরেকটি প্লেটের সাথে ঘর্ষণের মাধ্যমে এই নড়াচড়া প্রতিরোধ করা হয়। তবে চাপ বেশি বেড়ে গেলে কখনো কখনো একটি প্লেট হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দেওয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ সরে যায়। এবার এরাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে যায় এবং উত্তর দিকে সরে যাওয়া আনাতোলিয়ান প্লেটে গিয়ে ধাক্কা দেয়। প্লেটগুলোর এ ধরণের ঘর্ষণের কারণে অনেক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। ক্ষতিকর আফটারশক প্রায় এক বছর ধরে চলতে থাকে। বর্তমান ভূমিকম্পের পরে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি আফটারশক হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এটি এই অঞ্চলে এর আগে হওয়া ভূমিকম্পের মতোই হবে।

তুরস্কের ভূমিকম্পটি ফল্ট লাইন বরাবর প্রায় ১০০ কিলোমিটার ধরে আঘাত হেনেছে এবং এ কারণে ভবনগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের প্রধান অধ্যাপক জোয়ানা ফাউর ওয়াকার বলেছেন: 'যে কোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত ১০ বছরের মধ্যে মাত্র দুটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল, আর এর আগের ১০ বছরে মাত্র চারটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল।'

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলকানো এন্ড রিস্ক কমিউনিকেশন বিভাগের রিডার ড. কারমেন সোলানা বলেছেন 'দুর্ভাগ্যবশত দক্ষিণ তুরস্ক এবং বিশেষ করে সিরিয়ায় অবকাঠামোগুলো খুব একটা ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয়। তাই জীবন বাঁচানো এখন নির্ভর করবে উদ্ধার তৎপরতার উপর। জীবিতদের উদ্ধারে পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪৮ ঘণ্টা পর জীবিত মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যায়।'

আসলে হার্প কি?
হার্প সম্পর্কিত আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে হার্প হল একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প যার লক্ষ্য আয়নোস্ফিয়ার বা ওজন স্তরের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ অধ্যয়ন করা।

আয়োনস্ফিয়ার সম্পর্কে নাসা বলেছে আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে প্রায় ৫০ থেকে ৪০০ মাইল প্রসারিত একটি নিরপেক্ষ পর্দা। যা পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে যেখানে আমরা বাস করি ও শ্বাস নেই সেই নিম্নের বায়ুমণ্ডলের সীমানা হিসেবে কাজ করে।

সমবায় গবেষণা ও উন্নয়ন চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে আয়নোস্ফিয়ারিক ঘটনাবিদ্যার অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী থেকে এ প্রকল্প আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। হার্প আয়নোস্ফিয়ার অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম উচ্চ-শক্তি, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিটার। এই প্রকল্প একটি বিশ্বমানের আয়নোস্ফিয়ারিক গবেষণা সুবিধা বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ব তথ্যকোষ উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে হার্প প্রকপ্লের যাত্রা শুরু ১৯৯০ সালে। যার অনুমোদন নিতে সাহায্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রিপাবলিকান সিনেটর টেড স্টিভেন। এবং ১৯৯৩ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়।

তবে আদৌ কি মানব সৃষ্ট প্রযুক্তি দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব না কি নয় সে সম্পর্কে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ আজও দিতে পারেনি কোনো পক্ষই।

/এএস

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুণ্যের উৎসব ২০২৫। চুয়াডাঙ্গা সদরের আয়োজনে এ মেলায় ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও ৯ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৫ এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও চুয়াডাঙ্গা সদর এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ভূমি সেবা বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মেলা শুরু হলো।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম মেলার শুভ উদ্বোধন করেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী৷ অফিসার এম. সাইফুল্লাহ, সহকারী কমিশনার ( ভুমি) এস. এম. আশিস মোমতাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহবায়ক মো. আসলাম হোসেন এবং অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিবৃন্দ।

মেলায় তরুনদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পন্য ও প্রযুক্তির স্টল রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  

ছবিঃ সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের রাজনগরে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ফল (কমলা) দাম ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও নিলাম থেকে এই দামেই ফলগুলো কিনে নিয়েছেন এক প্রবাসী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজারের রাজনগরে জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এসময় মাহফিলে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা দান করেন এক ব্যক্তি। পরে ওয়াজ মাহফিল শেষে সেগুলো নিলামে তুলেন শায়খুল হাদীস মুফতি মুশাহিদ ক্বাসেমী। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফলগুলো কিনে নেন আরব আমিরাত প্রবাসী মাওলানা শরিফ আক্তার হুসাইন।

ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ গ্রহণকারী শ্রোতারা বলেন, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ফলগুলো নিলামে তোলা হয়। ২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যারাই নিলামে অংশগ্রহণ করেছেন সবার উদ্দেশ্য হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করা।

জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার বার্ষিক মহাসম্মেলন ফলগুলো দান করা হয়। পরে ফলগুলো নিলামে তোলা হলে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম আমদানির পরিকল্পনা করেছে। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমের ফলনের ওপর আমদানির পরিমাণ নির্ভর করবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এসব তথ্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বর্তমানে সরকারি মজুত ১৩ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে ৮.৮২ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৩.৪১ লাখ মেট্রিক টন গম রয়েছে। খাদ্য উপদেষ্টা জানান, রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে চালের দাম কমানোর জন্য মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দামে আরও হ্রাস আনার চেষ্টা করা হবে।

সরকারি মজুত বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে ৫০ হাজার টন আতপ চাল পাকিস্তান থেকে আমদানির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে, ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। এ চালের মূল্য প্রতি টন ৪৫৪.১৪ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মোট ব্যয় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হলো দু'দিনব্যাপি তারুন্যের মেলা
এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস