মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তুরস্কের ভূমিকম্পের জন্য কি আমেরিকার হার্প দায়ী?

হাই ফ্রিকুয়েন্সি অ্যাক্টিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম সংক্ষেপে হার্প (HAARP)। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি গবেষণা প্রকল্প যা ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়। উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তর বা আয়োনোস্ফিয়ারে এ গবেষণা চালানো হয়।

তবে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে পুরো বিশ্বেই বিতর্কিত মতবাদ প্রচলিত আছে। অনেকেই এই প্রযুক্তিকে দানবীয় প্রযুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের দাবি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি দেশের বা পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে কৃত্রিম উপায়ে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, এমনকি ভূমিকম্পসহ মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের পর এই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে সমালোচনার ঝড়। সবাই আঙুল তুলছে আমেরিকান হার্প প্রযুক্তির দিকে। বলা হচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতির বিরোধীতার অংশ হিসেবে তুরস্ককে উচিত শিক্ষা দিতেই হার্প প্রযুক্তির অপব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় আকাশে বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন তাত্ত্বিকেরা। সেনঝিনা বোয়াহেন নামে এক নারী এমন একটি ভিডিও টুইট করে লিখেছেন 'তুরস্কের ভূমিকম্প ন্যাটো বা যুক্তরাষ্ট্রের একটি শাস্তিমূলক অভিযানের মত দেখাচ্ছে।' তার দাবি ভূমিকম্পের সময় সাধারণত বজ্রপাত দেখা যায় না কিন্তু হার্প অপারেশনের সময় দেখা যায়।

তবে ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন ভূমিকম্পের সময় বজ্রপাত হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। এ নিয়ে অযথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কেবল বহির্বিশ্বে নয়, বাংলাদেশেও হার্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, ছড়ানো হচ্ছে গুজব।

বিতর্কিত তাত্ত্বিকরা আরও সমালোচনায় জড়িয়েছেন এই বলে যে, তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার একদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তুরস্কে তাদের কনসালটেন্ট বন্ধ করে দেয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মত কৃষ্ণসাগরের কাছাকাছি আসে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ। ভূমিকম্পের পূর্বে এহেন কার্যকলাপগুলোকে যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন তারা।

তাদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে আসছে। রাশিয়ার সাথে তুরস্কের ঘনিষ্ঠতা চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির। তুরস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে ঢুকাতে চায় তারা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় একই অঞ্চলের তুরস্ক, সিরিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ইজরাইল ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।

তুরস্কে ভূমিকম্প
গেল ৬ ফেব্রুয়ারি এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয় তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা কাহরামানমারাস। তুরস্কের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সময় সকাল ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কাহরামানমারাস অঞ্চলের ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ৪ মাত্রার। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে এই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন ১৪ হাজার জন ও সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন। এর আগে তুরস্কে ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পেও প্রায় ১৮ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।

হার্প বিতর্ক
হার্প নিয়ে বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার হার্প প্রযুক্তিকে দোষারোপ করা হয়েছে। এই বিতর্ক শুরু হয় মূলত ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্পের পর। এ ছাড়াও ২০১০ সালে চিলিতে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১১ সালের জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১৩ সালে ওকলাহোমায় টর্নেডো এমনকি ২০০৬ সালে ফিলিপাইনে ভূমিধসে হাজারেরও বেশি নিহতের ঘটনার জন্য হার্প প্রযুক্তিকে দায়ী করা হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রযুক্তির প্রভাব বিষয়ে হার্পের দিকে আঙুল তুলেছেন বিশ্ব নেতারাও। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদেনিজাদ ২০১০ সালে পাকিস্তানের বন্যার কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্প প্রকল্পের বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় তরঙ্গকে অভিযুক্ত করেছিলেন। একই বছর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ হার্পকে টেকটোনিক অস্ত্র আখ্যা দিয়ে হাইতির ভূমিকম্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রকল্পকে দায়ী করেছিলেন।

তবে এসব বিতর্ক বরাবরই অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইউএসএ টুডে। তারা হার্পের একাধিক গবেষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। তাদের দাবি আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তনের কোনো সক্ষমতাই হার্প প্রযুক্তির নেই। আর আবহাওয়াবিদ এবং জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বড় আকারের আবহাওয়া কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না।

এসব বিতর্কের তোপের মুখে ২০১৪ সালে হার্পের গবেষণা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। তবে বৈজ্ঞিনাকি গবেষণার প্রয়োজনে পরে তা আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ আলাদা বিট দিয়ে গঠিত, যাকে প্লেট বলা হয়, যা একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান করে। এই প্লেটগুলি প্রায়শই নড়াচড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাশে থাকা অন্য আরেকটি প্লেটের সাথে ঘর্ষণের মাধ্যমে এই নড়াচড়া প্রতিরোধ করা হয়। তবে চাপ বেশি বেড়ে গেলে কখনো কখনো একটি প্লেট হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দেওয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ সরে যায়। এবার এরাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে যায় এবং উত্তর দিকে সরে যাওয়া আনাতোলিয়ান প্লেটে গিয়ে ধাক্কা দেয়। প্লেটগুলোর এ ধরণের ঘর্ষণের কারণে অনেক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। ক্ষতিকর আফটারশক প্রায় এক বছর ধরে চলতে থাকে। বর্তমান ভূমিকম্পের পরে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি আফটারশক হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এটি এই অঞ্চলে এর আগে হওয়া ভূমিকম্পের মতোই হবে।

তুরস্কের ভূমিকম্পটি ফল্ট লাইন বরাবর প্রায় ১০০ কিলোমিটার ধরে আঘাত হেনেছে এবং এ কারণে ভবনগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের প্রধান অধ্যাপক জোয়ানা ফাউর ওয়াকার বলেছেন: 'যে কোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত ১০ বছরের মধ্যে মাত্র দুটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল, আর এর আগের ১০ বছরে মাত্র চারটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল।'

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলকানো এন্ড রিস্ক কমিউনিকেশন বিভাগের রিডার ড. কারমেন সোলানা বলেছেন 'দুর্ভাগ্যবশত দক্ষিণ তুরস্ক এবং বিশেষ করে সিরিয়ায় অবকাঠামোগুলো খুব একটা ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয়। তাই জীবন বাঁচানো এখন নির্ভর করবে উদ্ধার তৎপরতার উপর। জীবিতদের উদ্ধারে পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪৮ ঘণ্টা পর জীবিত মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যায়।'

আসলে হার্প কি?
হার্প সম্পর্কিত আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে হার্প হল একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প যার লক্ষ্য আয়নোস্ফিয়ার বা ওজন স্তরের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ অধ্যয়ন করা।

আয়োনস্ফিয়ার সম্পর্কে নাসা বলেছে আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে প্রায় ৫০ থেকে ৪০০ মাইল প্রসারিত একটি নিরপেক্ষ পর্দা। যা পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে যেখানে আমরা বাস করি ও শ্বাস নেই সেই নিম্নের বায়ুমণ্ডলের সীমানা হিসেবে কাজ করে।

সমবায় গবেষণা ও উন্নয়ন চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে আয়নোস্ফিয়ারিক ঘটনাবিদ্যার অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী থেকে এ প্রকল্প আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। হার্প আয়নোস্ফিয়ার অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম উচ্চ-শক্তি, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিটার। এই প্রকল্প একটি বিশ্বমানের আয়নোস্ফিয়ারিক গবেষণা সুবিধা বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ব তথ্যকোষ উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে হার্প প্রকপ্লের যাত্রা শুরু ১৯৯০ সালে। যার অনুমোদন নিতে সাহায্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রিপাবলিকান সিনেটর টেড স্টিভেন। এবং ১৯৯৩ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়।

তবে আদৌ কি মানব সৃষ্ট প্রযুক্তি দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব না কি নয় সে সম্পর্কে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ আজও দিতে পারেনি কোনো পক্ষই।

/এএস

Header Ad
Header Ad

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!

ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে সোমবার রাতেও দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের মুক্তি দাবি করেছে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডন-এর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এমনটি জানানো হয়।

সোমবার সিনেটে পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ জাতীয় সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বদলীয় সম্মেলন (Multi-Party Conference) আহ্বান করা প্রয়োজন, যাতে দেশের রাজনৈতিক নেতারা একসঙ্গে বসে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই বৈঠকে ইমরান খানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার জেল থেকে মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

পিটিআইয়ের সিনেটর আলী জাফর বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এখন দেশের স্বার্থে ঐক্য প্রয়োজন। ইমরান খানের উপস্থিতি বিশ্বকে দেখাবে— পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ।” তিনি আরও বলেন, ইমরান যদি অংশ নেন, তাহলে তা হবে শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা।

পিটিআই নেতা শিবলি ফারাজ আরও একধাপ এগিয়ে ইমরান খানকে টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার দাবি, ইমরান টিভির মাধ্যমে জনগণকে মিনার-ই-পাকিস্তানে জমায়েত হওয়ার এবং ওয়াগা সীমান্তে পদযাত্রা করার ডাক দিলে এক কোটির বেশি মানুষ সাড়া দেবে।

তার ভাষায়, “শুধু জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি ভারতকে যথাযথ বার্তা দিতে পারেন।”

ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএল-এন–এর সিনেটর ইরফানুল হক সিদ্দিকী ভারতের প্রতি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পেহেলগামের হামলা আসলে একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন— যা ভারতের নিজস্ব সংস্থারই পরিকল্পিত, পাকিস্তানকে হেয় করার উদ্দেশ্যে।”

তিনি বলেন, পাকিস্তান বরাবরই সন্ত্রাসবাদের শিকার, বরং ভারত এখন নাৎসি চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলছে, তারাই বরং দীর্ঘদিন ধরে চরমপন্থী হামলার শিকার। দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা বিশ্ব রাজনীতিতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, পরিস্থিতি যুদ্ধাবস্থার দিকে গড়াতে পারে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

প্রকল্প বাস্তবায়ন না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে টাঙ্গাইল এলজিইডিতে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযানে তারা বিভিন্ন প্রকল্পের নামে আসা বরাদ্দকৃতের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রাথমিত প্রমাণ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

প্রাথমিকভাবে অভিযোগের দুদক জানায়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডি'র তত্ত্বাবধানে গ্রাম-গঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক টাঙ্গাইল এলজিইডিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেগুলো সরেজমিনে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং পরে এ বিষয়গুলো কমিশনকে জানাবো।

তিনি আরও জানান, একদিনে জেলার সবগুলো উপজেলায় যাওয়া সম্ভব না। তাই পরবর্তীতে অন্যান্য উপজেলাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

Header Ad
Header Ad

লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে নতুন করে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তুরস্কভিত্তিক রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিজানুর রহমান জানান, ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি পাঠানো একটি চিঠিতে বাংলাদেশের প্রতি এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্থায়ী তাঁবু, স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। এখন ইউএনএইচসিআর চায়, এদেরকে শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তর করা হোক।”

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের পরিবার সংখ্যা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি, যার মধ্যে গত সপ্তাহেই ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, “নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এখনো সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ, বারবার নতুন শরণার্থী গ্রহণ করলে পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়বে।”

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ‘আরাকান আর্মি’ রাখাইন রাজ্যের সীতওয়ে ব্যতীত অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর ফলে রাখাইনে মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে আরসা কর্তৃক পুলিশের ওপর হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। তখন প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী বসতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এই মুহূর্তে ইমরানকে দরকার পাকিস্তানের, মুক্তি ও সর্বদলীয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা!
টাঙ্গাইলে এলজিইডিতে দুদকের অভিযানে অর্থ আত্মসাতের পাওয়া গেছে প্রমাণ
লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয়ের অনুরোধ জানাল জাতিসংঘ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, পানি খাইয়ে সেবা করল ডাকাতরা, পরে লুট
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে নানা প্রশ্ন : স্পষ্ট করলেন প্রেসসচিব
ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা
সব রুফটপ রেস্তোরাঁর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
নিলামে তুলেও এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করতে পারছে না ব্যাংকগুলো
সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই চার বছর পর সাদমানের সেঞ্চুরি
স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন প্রধান উপদেষ্টার, মাসিক খরচের বিষয়ে যা জানা গেল!
রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়টি স্পষ্ট করুন: জামায়াত আমির
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, সহকারী শিক্ষক ১২তম
এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই: উমামা ফাতেমা
আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করেছিল: প্রধান উপদেষ্টা
আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই
চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট
রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা উচিত ছিল: ফখরুল