প্রিন্স অ্যান্ড্রুর রাজকীয় ও সামরিক খেতাব বাতিল
রাজকীয় ও সামরিক খেতাব হারিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু। যৌন হয়রানির অভিযোগে অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে দেওয়ানি মামলার রায় ঘোষণার পরদিনই বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বাকিংহাম প্যালেস এ ঘোষণা দিয়েছে।
১৭ বছরের এক নারীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন এমন অভিযোগে প্রিন্স এন্ড্রুকে যখন মার্কিন আদালতের মুখোমুখি হতে হল, ঠিক তখনই এ পদক্ষেপ নিলেন রানী এলিজাবেথ। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ডিউক অফ ইয়র্ক খেতাব ও রাজকীয় সব পৃষ্ঠপোষকতা বাতিল করেছেন রানী।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রানীর অনুমতি ও সম্মতিতেই ডিউক অব ইয়র্কের সামরিক সহযোগিতা এবং রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতাগুলো রানীর অধীনে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে প্রিন্স অ্যান্ড্রু এখন থেকে কোনো দায়িত্বে থাকছেন না এবং একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই মামলাটি লড়বেন। সেই সঙ্গে তার সমস্ত ভূমিকা রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পুনর্বন্টনের জন্য রানীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগকারী নারী ভার্জিনিয়া গিফ্রের অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আইনী লড়াই চালিয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, এক নারীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়ানি মামলার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। ২০০১ সালে ১৭ বছর বয়সী ওই নারীর ওপর তিনি যৌন নির্যাতন করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতনের শিকার নারী নিজেই। প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে করা মামলায় ভার্জিনিয়া জিউফ্রে নামের ওই নারী দাবি করেছেন, অ্যান্ড্রু ২০০১ সালে তাকে অপব্যবহার করেছিলেন।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তবে বাকিংহাম প্যালেস বলেছে, তারা চলমান আইনি বিষয়ে মন্তব্য করবে না।
কেএফ/