উত্তর কোরিয়ার ৫ নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে জড়িত পাঁচ নাগরিকরের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১২ জানুয়ারি) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। খবর আলজাজিরার।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি (রাজস্ব) দপ্তর বলছে, ওই পাঁচ ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ায় গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত।
ট্রেজারি ফর টেররিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি প্রতিরোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তার অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া অবৈধভাবে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে। এমন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নেলসন আরও বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কূটনৈতিকভাবেও বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ ঘটনা প্রমাণ করেছে যে উত্তর কোরিয়া এ ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
গতকাল উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, দেশটি সফলভাবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন ব্যক্তিগতভাবে এই কর্মসূচি তত্ত্বাবধান করেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। এর আগে গত বুধবার আরেকটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কথা জানায় উত্তর কোরিয়া।
নতুন বছরে দেওয়া এক ভাষণে কিম জং-উন বলেন, পিয়ংইয়ং প্রতিরক্ষাক্ষমতা আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। কোরিয়া উপত্যকায় অস্থিতিশীল সামরিক পরিবেশের কারণে পিয়ংইয়ং প্রতিরক্ষাক্ষমতা বাড়াতে চায় বলেও জানান। এরপর নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হলো।
কেএফ/