ক্ষমা চাইলেন বরিস জনসন
করোনা মহামারিতে লকডাউন বিধিনিষেধ অমান্য করায় ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বুধবার (১২ জানুয়ারি) ব্রিটেনের পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে আয়োজন করা ওই পার্টির জন্য ক্ষমা চান তিনি। ২০২০ সালের মে মাসে ডাউনিং স্ট্রিটের এক পার্টিতে বরিস জনসন ও তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই পার্টির একটি ভিডিও ক্লিপও প্রকাশ করা হয়।
তিনি বলেন, মাননীয় স্পিকার, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি তাদের কাছেও দুঃখিত যারা গত ১৮ মাস ধরে বিভিন্ন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। চলমান তদন্তের ফলাফল কি হবে তা আমি অনুমান করতে পারছি না, তবে আমার উচিত কৃতকর্মের দায়িত্ব নেয়া। ওই পার্টিতে আমি মাত্র ২৫ মিনিট অবস্থান করেছি। আমি ভেবেছিলাম কাজ নিয়ে আলোচনা করা হবে সেখানে।
ফাঁস হওয়া এক ইমেইলের মাধ্যমে আইটিভি নিউজ জানিয়েছিল, ওই পার্টিতে অন্তত ১০০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে সে দিন অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৪০ জন। অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তার স্ত্রী ক্যারি সিমন্ডস। প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস ডাউনিং স্ট্রিটের ওই পার্টিতে অংশ নিতে ১০০ এর বেশি জনকে মেইল করেছিলেন। এতে লেখা ছিল, এক অবিশ্বাস্য ব্যস্ত সময় পর আমরা ভাবছি এই সন্ধায় ১০ নম্বর গার্ডেনে মনোরম পরিবেশে পানীয় পান করা যাবে। পার্টির দিনেই দেশটিতে সাড়ে তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়ায় ওই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। তবে শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়েছেন জনসন।
এই মেইলের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর থেকে চাপের মধ্যে রয়েছেন জনসন। ক্ষমা চাওয়ার পর নিজ দলের অনেক রাজনীতিবিদ জনসনকে সমর্থন দিলেও পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। তবে পার্টির বিষয়ে চলমান তদন্তের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন অনেক রাজনীতিবিদ।
কেএফ/