পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারপতি
গত বছর সেপ্টেম্বরেই বিচারপতি হিসেবে আয়েশা মালিকের নাম সুপারিশ করেছিল জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান (জেসিপি)। তবে কমিশনের চার সদস্য পক্ষে মত দিলেও অপর চার সদস্য এ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তখন ওই পদোন্নতি আটকে যায়। এবার আয়েশা মালিকের পক্ষেই সমর্থন বেশি। তাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের প্রথম নারী বিচারপতি হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বৈঠকে বসেছিল জেসিপি, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজ়ার আহমেদের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। জেসিপির সুপারিশের পর সংসদীয় কমিটির কাছে যাবে প্রস্তাবটি। ওই কমিটির সিদ্ধান্তই এ বিষয়ে চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া হয়। সাধারণত জেসিপির সুপারিশে আপত্তি করে না। আর সেই হিসাবে, আয়েশা সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হতে যাচ্ছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হার্ভার্ড আইন স্কুলের স্নাতক বিচারপতি আয়েশা বর্তমানে লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং নজিরবিহীন রায় দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে নির্বাচনী প্রার্থীর সম্পত্তি ঘোষণা অন্যতম। সেইসঙ্গে ধর্ষণ হামলায় নারীদের কথিত সতীত্বের পরীক্ষাও তিনি বাতিল করেন।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আয়েশা মালিক ২০৩১ সালের জুন মাস পর্যন্ত বহাল থাকবেন। অবসরের আগে তিনিই হবেন পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের সবচেয়ে প্রবীণ বিচারপতি। সেই হিসাবে প্রধান বিচারপতি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তার।
তবে এই নিয়োগ নিয়ে পাকিস্তানে অসন্তোষও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফ আফ্রিদি জেসিপির এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার মতে, দেশের অন্তত পাঁচটি হাইকোর্টে বিচারপতি আয়েশার চেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি রয়েছেন, যারা সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী বিচারপতি হওয়ার যোগ্য। জেসিপি বিচারপতি আয়েশার পদোন্নতি চূড়ান্ত করলে দেশজুড়ে গণবিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন আফ্রিদি। এমনকি আদালত বয়কটের হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
এসএ/