রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পাঞ্জাবে সড়ক অবরোধে বাতিল হলো মোদির জনসভা

পাঞ্জাবে সমাবেশ করতে গিয়ে সড়ক অবরোধের মুখে পড়েন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেষ পর্যন্ত ওই জনসভা বাতিল করতে হয়।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে মোদির জনসভা আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সড়ক অবরোধের কারণে জনসভায় যেতে পারেননি তিনি।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, সড়ক অবরোধ করেছিলেন পাঞ্জাবের স্থানীয় কৃষকেরা। কৃষি আইন প্রণয়নের কারণে পাঞ্জাবের কৃষকসমাজ বহুদিন ধরেই কেন্দ্রের ওপর ক্ষুব্ধ। যদিও সড়ক অবরোধ কারা করেছিলেন এবং কোন দাবিতে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কিছু জানানো হয়নি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কারণে রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিক থেকে এটা এক নিদারুণ গাফিলতি।

ওই ঘটনার পর বিমানবন্দরে ফিরে কর্মকর্তা উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘বেঁচে ফিরতে পেরেছি, এই অনেক! এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে (পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী) আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাবেন।’

গত দুই বছরে এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম পাঞ্জাব সফর। এ সফর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল রাজ্য নির্বাচন ও দীর্ঘ সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার পর সফরের আগে মোদি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘পাঞ্জাবে আমার ভাইবোনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অপেক্ষায় আছি। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর হবে, যা রাজ্যের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে।’

মোদি বুধবার বিমানে ভাতিন্ডা পৌঁছান। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে তার যাওয়ার কথা ছিল ফিরোজপুর জেলার হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ স্মৃতিসৌধে। শতদ্রু নদীর তীরে রাজগুরু, ভগত সিং ও সুখদেবের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার দরুন হেলিকপ্টার ওড়ার অনুমতি না মেলায় প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে ফিরোজপুর যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দুই ঘণ্টার যাত্রাপথের শেষাংশে এক ফ্লাইওভারে তার গাড়িবহর থেমে যায়। উড়ালসড়কের অন্য প্রান্ত ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি দিয়ে অবরোধ করা ছিল। মিনিট বিশেক অপেক্ষার পর অবরোধ না ওঠায় প্রধানমন্ত্রী মোদি সফর বাতিল করে ফিরে যান।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সফর সব সময় রাজ্য সরকারকে জানিয়ে চূড়ান্ত করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তা করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কী করে এমন ধরনের সড়ক অবরোধ করা হলো, সেটাই বিস্ময়ের। সরকারি বিবৃতিতে অবরোধের চরিত্র নিয়ে কিছু বলা না হলেও সামাজিক মাধ্যমে কৃষকদের বিক্ষোভের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয় ফিরোজপুরের জমায়েতে জানান, ইচ্ছা থাকলেও বিশেষ কারণে প্রধানমন্ত্রী জনসভায় আসতে পারেননি। ফলে এসব প্রকল্প উদ্বোধনের কাজ স্থগিত রাখা হচ্ছে। ভোটের আগে ৪২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরের জন্য এ জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিষয়টি নিয়ে পাঞ্জাব পুলিশের পরিচালককে জবাবদিহি চেয়েছেন বলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।

বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এই গাফিলতির জন্য পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে ও বিক্ষোভকারীদের যোগসাজশকে দায়ী করেছেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি ফোন ধরেননি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

এসএ/

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

থাকবে না সরকারি ছুটি

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা

পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আজই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ বছর থেকে দিবসটি পালন করা হবে। তবে এ দিনে থাকবে না সরকারি ছুটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের এমন বক্তব্যের কিছু সময় পরই ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়।

Header Ad
Header Ad

প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু

ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। সরকারি পর্যায়ের চুক্তির (জি টু জি) আওতায় বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে একটি পাকিস্তানি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই প্রথমবার সরকার অনুমোদিত একটি কার্গো জাহাজ করাচির পোর্ট কাসিম থেকে বাংলাদেশের পথে রওনা দিয়েছে। চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে মোট ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে, যা পাকিস্তানের ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিপি) সরবরাহ করছে।

চলতি ফেব্রুয়ারির শুরুতে এই চুক্তি চূড়ান্ত করা হয়। দুই ধাপে চাল রপ্তানির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। প্রথম চালানের আওতায় ২৫ হাজার টন চাল ইতোমধ্যে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। আগামী মার্চের শুরুতে দ্বিতীয় চালানে আরও ২৫ হাজার টন চাল পাঠানো হবে।

এবারের চালান বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, কারণ এটি ১৯৭১ সালের পর প্রথমবারের মতো পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশনের (পিএনএসসি) কোনো জাহাজ সরকারি কার্গো নিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এই ঘটনা দ্বিপাক্ষিক সামুদ্রিক বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থগিত ছিল। এই উদ্যোগ দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং সামুদ্রিক পথ ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরাসরি জাহাজ চলাচলের ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া