নতুন বছরে উত্তর কোরিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
নতুন বছরে প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার (৫ জানুয়ারি) দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
জাপানের কোস্টগার্ড ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনে। তাদের দাবি, কোরিয়া উপদ্বীপের সমুদ্রে উত্তর কোরিয়া নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তবে সেটি ব্যালেস্টিক মিসাইল কি না, তা তারা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়াও সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে জানায়, সম্ভবত সমুদ্রে নতুন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছেন কি না, তা স্পষ্ট না হলেও তারা যে সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তা পরিষ্কার। তবে গোয়েন্দাদের ধারণা সেটি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র।
এ ঘটনার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী কড়া ভাষায় উত্তর কোরিয়াকে আক্রমণ করেছেন। তার বক্তব্য, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে কিম জং উন কোরিয়া উপদ্বীপের শান্তি নষ্ট করছেন। কোরিয়ার সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করে উত্তর কোরিয়া সাধারণ মানুষের খাবারের দিকে মন দিক।
কিম অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন। বছর শেষের বক্তৃতায় কিম বলেছেন, আত্মরক্ষার অধিকার তাদের আছে। যেভাবে কোরিয়া উপদ্বীপে তাদের উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তার মোকাবিলায় অস্ত্র পরীক্ষা করতেই হবে।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, এর জন্যই দেশের মানুষ খাবার পাচ্ছেন না। সবাই যাতে খাবার পান, সে দিকে সরকার নজর রাখবে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, উত্তর কোরিয়ায় তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। নারী ও শিশুদের অবস্থা ভয়াবহ। অপুষ্টিতে ভুগছেন বহু মানুষ।
বস্তুত, অস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। জাতিসংঘও নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে। ফলে চীন ছাড়া অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে সাহায্য পাচ্ছে না উত্তর কোরিয়া।
এসএ/