বিনিময় প্রথা চালু চীনের জিয়ানে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিনিময় প্রথা চালু করেছেন চীনের সাংহাই প্রদেশের জিয়ান শহরের বাসিন্দারা। গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে শহরটিতে চলছে কঠোর লকডাউন। প্রায় ১৩ লাখ মানুষ নিজ বাড়িতে আটকে আছে। এমনকি তারা খাবার কিনতেও বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না। কোয়ারেন্টিনে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিশেষ করে খাবার বিনিময়ের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করছেন।
সাম্প্রতিক অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় খাদ্য ঘাটতির অসংখ্য অভিযোগ এসেছেন। সরকার এখানে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করছে, তবে সেটা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এমনকি কারো কারো অভিযোগ তারা খাদ্য সহায়তা পায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টগুলিতে দেখা যাচ্ছে যে, খাবারের বিনিময় এমনকি বিভিন্ন গ্যাজেটের বিনিময়েও খাবার অদলবদল করছেন এখানকার মানুষজন।
চীনের সোশ্যাল মিডিয়ায় উইবোতে পোস্ট করা ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায় যে, লোকেরা বাঁধাকপির পরিবর্তর সিগারেট, আপেলের পরিবর্তে থালা-বাসন ধোয়ার তরল এবং এক প্যাকেট সবজির বদলে স্যানিটারি প্যাড বিনিময় করছেন। এমনকি নিন্টেন্ডো সুইচ কনসোলটির পরিবর্তে একটি নুডলসের প্যাকেট এবং দুটি বান নিচ্ছেন ৷
আরএফএ নিউজকে সেখানকার ওয়াং নামের এক বাসিন্দা জানান, লোকেরা প্রতিবেশিদের সঙ্গে জিনিসপত্র অদলবদল করছেন, কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত খাবার নেই। এক ব্যক্তি চালের পরিবর্তে একটি স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট বিনিময় করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
উইবোতে একব্যক্তি তার পোষ্টে লিখেছেন, 'অসহায় নাগরিকরা বিনিময়ের যুগে পৌঁছেছে, আলু বিনিময় করা হয় তুলোর জন্য।' অন্য একজন তার পোষ্টে, 'আদিম সমাজে প্রত্যাবর্তন' হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে, কর্তৃপক্ষের দাবি বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে কেউ কেউ বলেছেন যে তাদের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম।
বর্তমানে জিয়ান কোভিড সংক্রমণের উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে এখানে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অনলাইনে তীব্র সমালোচনা চলছে।
কেএফ/