সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পরাশক্তি হওয়ার পথে চীন

ভেঙে পড়ছে মার্কিন সাম্রাজ্য!

তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই পরাশক্তি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। কেউ কেউ শীতল যুদ্ধের সূত্রপাত হচ্ছে বলেও অনুমান করছেন। ইতিহাসবিদ আলফ্রেড ম্যাকয়ের মতে, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ সংগঠিত হতে পারে। তবে চীন যেখানে পরাশক্তি হওয়ার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, সেখানে মার্কিন আধিপত্য ক্রমেই ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

দুই দেশের উত্তেজনা নিরসনে গত ১৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হলেও বাইডেনকে সতর্ক করে শি জিনপিং বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা হবে ‘আগুন নিয়ে খেলা’। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার ভার্চুয়াল সাক্ষাতে শি জিনপিংকে তাইওয়ান ইস্যুতে সংঘর্ষে না জড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জলবায়ু ইস্যুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার কয়েকদিন পরেই এই বৈঠক হয়।

চীনের উত্থান মোকাবেলা করতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জোট গঠনের সমালোচনা করেন শি জিনপিং। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকে বিভক্ত করলে অবশ্যই বিশ্বে বিপর্যয় আসবে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের মানবাধিকার রেকর্ড প্রকাশ করে। যেখানে চীনের ভারসাম্যহীন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নীতি বর্ণনা করা হয়েছে। বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দীর্ঘ সাক্ষাতে জো বাইডেন দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বার বার প্রকাশ করতে চাইলেও তাইওয়ানের প্রসঙ্গটি এড়াতে পারেননি। যা বর্তমানে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। চীন তাদের একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ হিসেবে তাইওয়ানকে মূল্যায়ন করে। যা কোনো একদিন মূলভূমির সঙ্গে ঐকীভূত হবে বলে চীনের বিশ্বাস।

আবার বাইডেন তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনে যে কোনো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। যা চীন-যুক্তরাষ্ট্রকে বৈরি সম্পর্কের দিকে ধাবিত করছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ান ইস্যুতে পেন্টাগন মার্কিন-চীনের মধ্যে এক ধরনের যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় রয়েছে। পররাষ্ট্র খাতের শেষ ১৮টি প্রতিযোগিতার সবগুলোতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হেরেছে।

চীনের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। আর তাইওয়ানের অবস্থান চীনের পাশেই। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে বিমানবাহী রণতরী স্থানান্তর করে, চীন সেই বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করতে পারে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন যুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সেই সংঘাতের উদ্ভব হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি যুদ্ধ লড়তে হবে, যা হারার সম্ভাবনাই বেশি।

ম্যাকয় বলেন, একটি গভীর ভূরাজনৈতিক লড়াই চলছে। বিগত পাঁচ দশকে, বিশ্বের প্রায় সব পরাশক্তি একইভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছে। পর্তুগাল থেকে হল্যান্ড, ব্রিটেন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং এখন চীন এই আধিপত্যের খেলায় নাম লিখিয়েছে, যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের আবাসস্থল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ২০১৪ সালের মধ্যে চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে। চীন এই বিশাল অবকাঠামোতে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। রেল, রাস্তা এবং গ্যাস পাইপলাইনের ইস্পাত গ্রিড স্থাপন করে বিশাল ইউরেশীয় ল্যান্ডমাসকে যুক্ত করেছে। যেখানে বাণিজ্য ও শক্তি বেইজিংয়ের দিকে প্রবাহিত হতে চলেছে।

মার্কিন-রুশ কথিত ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পশ্চিম ইউরোপে ন্যাটো জোট গঠন এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চারটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে ইউরেশিয়ার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আধিপত্য বিস্তারের জন্য ইস্পাত, বিমানবাহী রণতরী, জেট, যুদ্ধ বোমারু বিমানের ব্যান্ড দিয়ে ইউরেশিয়াকে আবদ্ধ করা হয়। ইউরেশীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ভূরাজনৈতিক আধিপত্য ভাঙার চেষ্টা করছে চীন। বর্তমানে চীন ইউরেশীয় ল্যান্ডমাস ও আফ্রিকার উপকূলে ৪০টি বন্দর তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অর্থনৈতিকভাবে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এ দুই দেশ বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ একসঙ্গে করে। তাদের পৃথক হওয়ার কোনো সুযোগও নেই। চীন অর্থনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ওপর নির্ভরশীল। চীনের রফতানি আয়ের মূল উৎস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে চীনের উৎপাদিত পণ্যের ওপর মার্কিন ভোক্তাগোষ্ঠী অনেকাংশে নির্ভরশীল।

অন্যদিকে মার্কিন-চীনের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য প্রতিযোগিতাও অসম। চীন অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং সংস্থা প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সের মতে, এই দশকের শেষ নাগাদ চীনের অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতির চেয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বড় হতে চলেছে। চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক না রাখলেও বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে পারবে। কারণ চীন দিনে দিনে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
সেই অর্থনৈতিক শক্তির কারণে চীন তার সামরিক ক্ষেত্রগুলোকে অনেক সম্প্রসারিত করছে। সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিশেষত অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন।

মার্কিন ইতিহাসবিদ ম্যাকয় বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের সিংহভাগ করা হয়েছে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে। এর কৌশলগত কারণ ছিল–মধ্যপ্রাচ্যের তেলকে সুরক্ষিত রাখা। একটি পণ্য সুরক্ষিত করতে ৮ থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি, যা ইতিহাসের ডাস্টবিনে চলে যাচ্ছে।’ এটিকে একটি ব্যর্থ কৌশল ছিল বলে মনে করেন সমালোচকরা।

মানুষ নৌবাহিনীকে কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই প্রয়োজন বলে ধারণা পোষণ করে; কিন্তু যুদ্ধ ছাড়াও নৌবাহিনীর বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হয়। একটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক আধিপত্যে মহাসাগরগুলো সুরক্ষিত রাখতে টহল বাড়ানো জরুরি। কারণ খনিজসম্পদ ও মৎস্যসম্পদকে সুরক্ষিত রাখতে সব দেশেরই সামুদ্রিক টহল জোরদার করা প্রয়োজন। যেদিক থেকে চীনের চিন্তা সুদূরপ্রসারী। চীন আকাশ ও সমুদ্র সীমানায় অবিরাম টহলদারি করছে। দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে সাতটি দ্বীপ ঘাঁটি তৈরি করছে চীন। এটি একটি সাম্রাজ্যবাদী খেলার অংশ। যা চীন পাঁচশ বছর ধরে সফলভাবে খেলে আসছে।

বিশ্ব নেতা হওয়ার পথে চীন

বিশ্বে এখন পর্যন্ত এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন দ্রুতগতিতে এ ভূমিকায় চলে আসতে চায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এরইমধ্যে পরাশক্তি হয়ে ওঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।

প্রচলিত ধারণা রয়েছে–চীন শুধু আঞ্চলিকভাবে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চায় এবং সে ক্ষেত্রে এসব অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কিছুটা হ্রাস পাবে। যেখানে বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হয়ে ওঠার কোনো লক্ষ্য ছিল না চীনের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গা নিতে চীন প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছে–এমন লক্ষণ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নিয়েই চীনের বর্তমান সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে প্রথম ঘোষণাটি আসে ২০১৭ সালে। সে সময় তিনি বলেন, চীন একটি ‘নতুন যুগে’ প্রবেশ করেছে এবং তারা অবশ্যই ‘বিশ্বে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকবে’। এর দুই বছর পর ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের নাজুক সম্পর্ক বোঝাতে প্রেসিডেন্ট শি ‘নিউ লং মার্চ’ আইডিয়াকে ব্যবহার করেন।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল–এ চার বছরের মধ্যে জার্মানি, ভারত, স্পেন ও ব্রিটেনের সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি জাহাজ সমুদ্রে ভাসিয়েছে চীন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে নিজেদের অগ্রাধিকার ধরে রাখতে উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি। উপকূলবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা। এশিয়া-ভূমধ্যসাগরসহ অন্যান্য অঞ্চলেও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

নতুন প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, প্রথমে আঞ্চলিক পর্যায়ে আধিপত্য স্থাপনের পর বৈশ্বিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে চীনকে। তবে এই আধিপত্য স্থাপনের অর্থ কোনো দেশকে জোরপূর্বক দখল নয়।

প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভেটো দেওয়ারও অধিকার অর্জন করতে হবে। এ ছাড়া অঞ্চলটিতে থাকা মার্কিন মিত্র জোটের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করতে হবে ও চীনের উপকূল থেকে মার্কিন সামরিক শক্তিকে ফেরত পাঠাতে হবে। তাইওয়ান বা হংকং প্রশ্নে এ বিষয়টিই সামনে এসেছে। আর এ ক্ষেত্রে কার্যত মার্কিন আধিপত্য প্রশ্নের মুখেই পড়েছে। ভেঙে পড়ছে মার্কিন আধিপত্য। যেখানে চীন এক নম্বর শক্তি হওয়ার পথে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।

/টিটি/এসএ/

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামী জিহাদ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে অন্তত ৩৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এই ঘটনা দখলদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখলদার সেনারা ৯৬,০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে জাবালিয়া শিবির ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একটি গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসন শুরু হয় হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়। যা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের বাড়তে থাকা অত্যাচার-নিপীড়নের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়।

এরপরই ইসরাইল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং গণহত্যামূলক নির্মূল অভিযান শুরু করে। উপত্যকাটিতে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। তাদের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট ৪৫,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০৭,৬২৭ জন।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান