সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরাশক্তি হওয়ার পথে চীন

ভেঙে পড়ছে মার্কিন সাম্রাজ্য!

তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে দুই পরাশক্তি চীন-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। কেউ কেউ শীতল যুদ্ধের সূত্রপাত হচ্ছে বলেও অনুমান করছেন। ইতিহাসবিদ আলফ্রেড ম্যাকয়ের মতে, অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ সংগঠিত হতে পারে। তবে চীন যেখানে পরাশক্তি হওয়ার পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে, সেখানে মার্কিন আধিপত্য ক্রমেই ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে।

দুই দেশের উত্তেজনা নিরসনে গত ১৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হলেও বাইডেনকে সতর্ক করে শি জিনপিং বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করা হবে ‘আগুন নিয়ে খেলা’। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টার ভার্চুয়াল সাক্ষাতে শি জিনপিংকে তাইওয়ান ইস্যুতে সংঘর্ষে না জড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জলবায়ু ইস্যুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একসঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার কয়েকদিন পরেই এই বৈঠক হয়।

চীনের উত্থান মোকাবেলা করতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন জোট গঠনের সমালোচনা করেন শি জিনপিং। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকে বিভক্ত করলে অবশ্যই বিশ্বে বিপর্যয় আসবে।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের মানবাধিকার রেকর্ড প্রকাশ করে। যেখানে চীনের ভারসাম্যহীন বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক নীতি বর্ণনা করা হয়েছে। বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

দীর্ঘ সাক্ষাতে জো বাইডেন দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বার বার প্রকাশ করতে চাইলেও তাইওয়ানের প্রসঙ্গটি এড়াতে পারেননি। যা বর্তমানে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। চীন তাদের একটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ হিসেবে তাইওয়ানকে মূল্যায়ন করে। যা কোনো একদিন মূলভূমির সঙ্গে ঐকীভূত হবে বলে চীনের বিশ্বাস।

আবার বাইডেন তাইওয়ানের স্বাধীনতা অর্জনে যে কোনো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। যা চীন-যুক্তরাষ্ট্রকে বৈরি সম্পর্কের দিকে ধাবিত করছে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ান ইস্যুতে পেন্টাগন মার্কিন-চীনের মধ্যে এক ধরনের যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় রয়েছে। পররাষ্ট্র খাতের শেষ ১৮টি প্রতিযোগিতার সবগুলোতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হেরেছে।

চীনের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে। আর তাইওয়ানের অবস্থান চীনের পাশেই। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে বিমানবাহী রণতরী স্থানান্তর করে, চীন সেই বিমানবাহী রণতরীগুলো ধ্বংস করতে পারে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-চীন যুদ্ধের শঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সেই সংঘাতের উদ্ভব হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে এমন একটি যুদ্ধ লড়তে হবে, যা হারার সম্ভাবনাই বেশি।

ম্যাকয় বলেন, একটি গভীর ভূরাজনৈতিক লড়াই চলছে। বিগত পাঁচ দশকে, বিশ্বের প্রায় সব পরাশক্তি একইভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছে। পর্তুগাল থেকে হল্যান্ড, ব্রিটেন থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং এখন চীন এই আধিপত্যের খেলায় নাম লিখিয়েছে, যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের আবাসস্থল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ২০১৪ সালের মধ্যে চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে। চীন এই বিশাল অবকাঠামোতে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। রেল, রাস্তা এবং গ্যাস পাইপলাইনের ইস্পাত গ্রিড স্থাপন করে বিশাল ইউরেশীয় ল্যান্ডমাসকে যুক্ত করেছে। যেখানে বাণিজ্য ও শক্তি বেইজিংয়ের দিকে প্রবাহিত হতে চলেছে।

মার্কিন-রুশ কথিত ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পশ্চিম ইউরোপে ন্যাটো জোট গঠন এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চারটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে ইউরেশিয়ার ওপর আধিপত্য বিস্তার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আধিপত্য বিস্তারের জন্য ইস্পাত, বিমানবাহী রণতরী, জেট, যুদ্ধ বোমারু বিমানের ব্যান্ড দিয়ে ইউরেশিয়াকে আবদ্ধ করা হয়। ইউরেশীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ভূরাজনৈতিক আধিপত্য ভাঙার চেষ্টা করছে চীন। বর্তমানে চীন ইউরেশীয় ল্যান্ডমাস ও আফ্রিকার উপকূলে ৪০টি বন্দর তৈরি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন অর্থনৈতিকভাবে একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। এ দুই দেশ বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ একসঙ্গে করে। তাদের পৃথক হওয়ার কোনো সুযোগও নেই। চীন অর্থনৈতিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ওপর নির্ভরশীল। চীনের রফতানি আয়ের মূল উৎস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে চীনের উৎপাদিত পণ্যের ওপর মার্কিন ভোক্তাগোষ্ঠী অনেকাংশে নির্ভরশীল।

অন্যদিকে মার্কিন-চীনের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য প্রতিযোগিতাও অসম। চীন অর্থনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে চাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং সংস্থা প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সের মতে, এই দশকের শেষ নাগাদ চীনের অর্থনীতি মার্কিন অর্থনীতির চেয়ে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বড় হতে চলেছে। চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক সম্পর্ক না রাখলেও বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে পারবে। কারণ চীন দিনে দিনে অর্থনৈতিকভাবে অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
সেই অর্থনৈতিক শক্তির কারণে চীন তার সামরিক ক্ষেত্রগুলোকে অনেক সম্প্রসারিত করছে। সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিশেষত অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন।

মার্কিন ইতিহাসবিদ ম্যাকয় বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের সিংহভাগ করা হয়েছে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে। এর কৌশলগত কারণ ছিল–মধ্যপ্রাচ্যের তেলকে সুরক্ষিত রাখা। একটি পণ্য সুরক্ষিত করতে ৮ থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি, যা ইতিহাসের ডাস্টবিনে চলে যাচ্ছে।’ এটিকে একটি ব্যর্থ কৌশল ছিল বলে মনে করেন সমালোচকরা।

মানুষ নৌবাহিনীকে কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই প্রয়োজন বলে ধারণা পোষণ করে; কিন্তু যুদ্ধ ছাড়াও নৌবাহিনীর বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হয়। একটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক আধিপত্যে মহাসাগরগুলো সুরক্ষিত রাখতে টহল বাড়ানো জরুরি। কারণ খনিজসম্পদ ও মৎস্যসম্পদকে সুরক্ষিত রাখতে সব দেশেরই সামুদ্রিক টহল জোরদার করা প্রয়োজন। যেদিক থেকে চীনের চিন্তা সুদূরপ্রসারী। চীন আকাশ ও সমুদ্র সীমানায় অবিরাম টহলদারি করছে। দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জে সাতটি দ্বীপ ঘাঁটি তৈরি করছে চীন। এটি একটি সাম্রাজ্যবাদী খেলার অংশ। যা চীন পাঁচশ বছর ধরে সফলভাবে খেলে আসছে।

বিশ্ব নেতা হওয়ার পথে চীন

বিশ্বে এখন পর্যন্ত এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন দ্রুতগতিতে এ ভূমিকায় চলে আসতে চায়। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এরইমধ্যে পরাশক্তি হয়ে ওঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।

প্রচলিত ধারণা রয়েছে–চীন শুধু আঞ্চলিকভাবে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চায় এবং সে ক্ষেত্রে এসব অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কিছুটা হ্রাস পাবে। যেখানে বিশ্বের এক নম্বর শক্তি হয়ে ওঠার কোনো লক্ষ্য ছিল না চীনের। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গা নিতে চীন প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছে–এমন লক্ষণ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নিয়েই চীনের বর্তমান সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে প্রথম ঘোষণাটি আসে ২০১৭ সালে। সে সময় তিনি বলেন, চীন একটি ‘নতুন যুগে’ প্রবেশ করেছে এবং তারা অবশ্যই ‘বিশ্বে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় থাকবে’। এর দুই বছর পর ওয়াশিংটনের সাথে বেইজিংয়ের নাজুক সম্পর্ক বোঝাতে প্রেসিডেন্ট শি ‘নিউ লং মার্চ’ আইডিয়াকে ব্যবহার করেন।

২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল–এ চার বছরের মধ্যে জার্মানি, ভারত, স্পেন ও ব্রিটেনের সম্মিলিত সংখ্যার চেয়েও বেশি জাহাজ সমুদ্রে ভাসিয়েছে চীন। এ ছাড়া ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে নিজেদের অগ্রাধিকার ধরে রাখতে উচ্চ প্রযুক্তি শিল্পে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি। উপকূলবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নৌপথগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেও নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তারা। এশিয়া-ভূমধ্যসাগরসহ অন্যান্য অঞ্চলেও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

নতুন প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, প্রথমে আঞ্চলিক পর্যায়ে আধিপত্য স্থাপনের পর বৈশ্বিকভাবে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে চীনকে। তবে এই আধিপত্য স্থাপনের অর্থ কোনো দেশকে জোরপূর্বক দখল নয়।

প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভেটো দেওয়ারও অধিকার অর্জন করতে হবে। এ ছাড়া অঞ্চলটিতে থাকা মার্কিন মিত্র জোটের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করতে হবে ও চীনের উপকূল থেকে মার্কিন সামরিক শক্তিকে ফেরত পাঠাতে হবে। তাইওয়ান বা হংকং প্রশ্নে এ বিষয়টিই সামনে এসেছে। আর এ ক্ষেত্রে কার্যত মার্কিন আধিপত্য প্রশ্নের মুখেই পড়েছে। ভেঙে পড়ছে মার্কিন আধিপত্য। যেখানে চীন এক নম্বর শক্তি হওয়ার পথে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে।

/টিটি/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামে রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে, যারা অতিশয় বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন, যাদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই, তাদের জন্য শরিয়ত সহজ বিধান রেখেছে। এই ধরনের ব্যক্তি রোজা রাখতে বাধ্য নন এবং তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে ফিদিয়া প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কুরআনে বলেছেন: "হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তাহলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আর যাদের জন্য রোজা কষ্টদায়ক, তারা প্রতিদিন একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করবে।" (সূরা বাকারা: ১৮৩-১৮৪)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এটি বিশেষভাবে অতি বৃদ্ধ নর ও নারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা রোজা পালনে অক্ষম। তাদের জন্য প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানোর বিধান রয়েছে (বুখারী: ৪৫০৫)।

ফিদিয়া আদায়ের নিয়ম:
যে ব্যক্তি রোজা রাখতে অক্ষম, তিনি প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্রকে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ খাবার প্রদান করবেন অথবা সকাল-বিকেল পেট ভরে খাবার খাওয়াবেন। তবে, যদি কেউ স্বেচ্ছায় বেশি দান করতে চান, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে।

ইসলাম একটি সহজ ও সহনশীল ধর্ম। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের ওপর আল্লাহ কোনো কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। তাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দেওয়া যথেষ্ট, যা ইসলামিক বিধানের সহজ ও বাস্তবসম্মত দিককে প্রতিফলিত করে।

 

Header Ad
Header Ad

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

ব্রিফ করছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (ইনসটে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি)। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে শিক্ষা ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মো. মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের শফিকুল ইসলাম শরিফ (১৯), এবং রূপন চন্দ্র ভাট (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা স্থানীয় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে। অন্য ৪ জন বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জন গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪টি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা ১.৫ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

Header Ad
Header Ad

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিবরণী জমা না দেওয়ায় ওই বছরের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নূর আহম্মেদ গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান এই মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?
শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া