বিশ্বে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের রেকর্ড
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বে চলছে করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের ঢেউ। বিশ্বজুড়ে সাত দিনে করোনাভাইরাস শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে। ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ৯ লাখ ৩৫ হাজার মানুষের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১৯ সালে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর থেকে রোগী শনাক্তের রেকর্ড এটা। প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দৈনিক করোনা শনাক্তের যে তথ্য দেয়, তার ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান বের করেছে এএফপি।
মহামারি শুরুর পর থেকে অনেক দেশে করোনার পরীক্ষা বেড়ে গেলেও কম গুরুতর বা উপসর্গহীন সংক্রমণের একটি বড় অংশ শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে করোনা পরীক্ষার নীতিমালাতেও পার্থক্য রয়েছে।
২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৫ লাখ ৫০ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগী শনাক্তের সংখ্যা থেকে বোঝা যায়, এটি অনেক দ্রুত ছড়াচ্ছে। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে শনাক্ত ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। এর আগে করোনা শনাক্তের রেকর্ড হয়েছিল ২৩ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে। ওই সময়ে এক সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৮ লাখ ১৭ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিশ্বজুড়ে গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এই ভাইরাসের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়া এবং অমিক্রন ধরনটির অতি সংক্রমণশীলতার কথা বলেছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি বলেছে, করোনার নতুন ধরন অমিক্রন নিয়ে সামগ্রিক ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে অমিক্রন সংক্রমণ বাড়লেও করোনায় মৃত্যু বাড়েনি। তিন সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যু কমছে।
গত এক সপ্তাহে বিশ্বে করোনায় দৈনিক গড়ে ৬ হাজার ৪৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের অক্টোবর মাসের পর থেকে সর্বনিম্ন। এ বছরের ২০ থেকে ২৬ জানুয়ারি করোনায় দৈনিক গড়ে ১৪ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব।
বর্তমানে করোনার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে ইউরোপে। গত সপ্তাহে সেখানে ৩৫ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দৈনিক গড়ে ৫ লাখ ১০ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছে। করোনার আগের ঢেউয়ের সময় এ মহাদেশে কখনও দৈনিক গড়ে তিন লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়নি।
দুই বছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের এই ভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, প্রকৃত মৃত্যু আরও দুই থেকে তিন গুণ হতে পারে।
টিটি/