লিবিয়ার নির্বাচন স্থগিত
আগামী ২৪ ডিসেম্বর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল লিবিয়ায়। বহুদিন পর গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিয়ে উৎসাহী ছিলেন লিবিয়ার মানুষ। তবে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ভেঙে দেওয়া হয় ইলেকটোরাল কমিটি। এ থেকে স্পষ্ট, শিগগিরই নির্বাচনের পরিকল্পনা নেই দেশটিতে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
লিবিয়ায় এখন জাতিসংঘের মিশন কাজ করছে। মঙ্গলবার তাদের পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই সময় নির্বাচন হলে সংঘর্ষের সম্ভাবনা প্রবল। বিভিন্ন গোষ্ঠী মারমুখী হয়ে আছে। এরপরই নির্বাচন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবারের নির্বাচনে অন্তত ৮০ জন প্রার্থীর লড়াই করার কথা ছিল। এর মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী হাইপ্রোফাইল। তাদের নিজস্ব সশস্ত্র গোষ্ঠী আছে। নির্বাচন ঘিরে সেসব গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরুও হয়ে গেছে কয়েকটি স্থানে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ার রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি এখনো ভয়াবহ। একাধিক গোষ্ঠী, অসংখ্য দল ক্ষমতা দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই মধ্যে সেখানে কাজ করছে জাতিসংঘ। সব মিলিয়ে এক বেহাল অবস্থা।
জাতিসংঘের লিবিয়া বিশেষজ্ঞ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, লিবিয়ার ভোট নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন বিধি তৈরি হয়েছিল, তাও স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয় প্রার্থী বাতিলের প্রক্রিয়া। এই সবকটি বিষয়ই সংঘর্ষের কারণ হতে পারত বলে তিনি মনে করেন।
লিবিয়ার মানুষ অবশ্য নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। একটি স্থায়ী সরকারের চাহিদা রয়েছে দেশে। কিন্তু এরপর আদৌ আর নির্বাচন হবে কি না, এখন সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসএ/