যুক্তরাজ্যে বিতর্কিত ন্যাশনালিটি বিলের বিরুদ্ধে সমাবেশ
যুক্তরাজ্যে পাস হতে যাওয়া বিতর্কিত ন্যাশনালিটি ও বর্ডারস বিলের ৯-এর ধারা বাতিলের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার লন্ডনের নাম্বার টেন ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশিসহ নানা দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে এসে বাস করা কয়েকশ মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে অংশগ্রহণ করা ব্যক্তিরা বলেন, ‘বর্তমান বরিস জনসনের সরকার পুরাতন ন্যাশনালিটি ও বর্ডারস বিল সংশোধন করে নুতন বিল আনতে যাচ্ছে। সংশোধনীতে বিলের ৯-এর ধারায় 'যে কোনো সময় নাগরিকত্ব বাতিলের' কথা বলা হয়েছে।বিতর্কিত এই বিলে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে নাগরিকত্ব নেওয়া এবং যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ বিল পাস হলে যে কোনো সময় নোটিশ ছাড়া হোম অফিস বা সরকার এসব নাগরিকের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে। আপিলেরও কোনো সুযোগ থাকবে না। অথচ আগে নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আপিলের সুযোগ থাকত।’
সমাবেশে আসা জর্জ মম বলেন, ‘সমাবেশে সাদা, কালো সব বর্ণের, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন, এই বিল বর্ণবাদী বিল। যা মানবাধিকারের লংঘন। আমরা সরকারকে পাস হতে যাওয়া বিলটি বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।’
বৃট্রিশ বাংলাদেশি এক্টিভিস্ট, ভয়েস ফর জাস্টিসের চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী বলেন, ‘এটি একটি ড্রাকুনিয়ান আইন। এই আইনে সাধারণ অনেক মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সরকার এই আইনের ব্যবহারের চেয়ে অপব্যবহার করবে বেশি।’
আরেক বাংলাদেশি সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি ৩০ বছর যাবৎ এই দেশে বাস করছি। ক্ষুদ্র হলেও এই দেশের অর্থনীতিতে আমার অংশগ্রহণ আছে। আমার এবং সন্তানদের অধিকার আছে এই দেশে বাস করার। বিলটি পাস হলে আমাদের মতো বাংলাদেশি, যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আ স ম মাসুম বলেন, ‘এই বিলের বিরুদ্ধে সিগনেচার ক্যাম্পেইন চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ সিগনেচার সংগ্রহ হয়েছে। ১ লাখ সিগনেচার সংগ্রহ হলে বৃট্রিশ পার্লামেন্টে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার দাবি তৈরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন বছরের শুরুতে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’
এমআরটি/এএন