একটি বৈঠক থেকে অলৌকিক কিছু আশা করা ঠিক নয়: তুরস্ক
তুরস্কের আন্তালিয়া শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে শান্তি আলোচনার পর তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসলু এই বৈঠকটিকে “গুরুত্বপূর্ণ সূচনা” বলে উল্লেখ করেছেন।
তুরস্কের একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “মাত্র একটি বৈঠক থেকে অলৌকিক কিছু আশা করা ঠিক নয়।”
২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দুটো দেশের মধ্যে এতো উচ্চ পর্যায়ের কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অনেক অসুবিধা সত্ত্বেও, আমি বলবো একটি ভালো বৈঠক হয়েছে। আমরা মানবিক করিডোর খোলা রাখার ওপর জোর দিয়েছিলাম।”
এই যুদ্ধে তুরস্ক নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে চেষ্টা করছে। কারণ দুটো দেশের সঙ্গেই তাদের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা তুরস্কের আন্তালায়ায় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে দুই দেশই ইউক্রেনে উদ্ধুত মানবাধিকার সংকট অবসানে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
কুলেবা বলেছেন: “ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করা, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘব এবং রুশ দখলদার বাহিনীর হাত থেকে ইউক্রেনের অঞ্চল স্বাধীন করার প্রয়াসে এই আলোচনা চালিয়ে যেতে আমি প্রস্তুত”।
ইউক্রেনের শরণার্থীরা কোন কোন দেশে যাচ্ছেন?
জাতিসংঘের ৮ই মার্চ পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী ইউক্রেনের শরণার্থীরা যেসব দেশে গিয়েছেন:
পোল্যান্ড – ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৯০৩
হাঙ্গেরি – ২ লাখ ৩ হাজার ২২২
স্লোভাকিয়া – ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৩
রাশিয়া – ৯৯ হাজার ৩০০
রোমানিয়া – ৮৫ হাজার ৪৪৪
মলদোভা – ৮২ হাজার ৭৬২
বেলারুস – ৫৯২
এছাড়া জাতিসংঘের বলছে ২ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ ইউরোপের অন্যান্য দেশে গেছেন।