ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ: অগ্রগতি হয়নি তৃতীয় দফা আলোচনায়
বেলারুশ সীমান্তে সোমবার তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসেছিলেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল। তবে আলোচনায় অগ্রগতি তেমন একটা হয়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈঠকে মানবিক করিডোর চালু ও বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা করে দুপক্ষ।
ইউক্রেনের ৬টি শহরে মানবিক করিডোর চালুর ঘোষণা দিলেও রুশ বাহিনীর হামলার কারণে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, অভিযোগ ইউক্রেনের।
বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রুশরা, এক ভিডিও বার্তায় এ অভিযোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি আরও জানান, মারিওপোলের যে পথ দিয়ে জরুরি সহায়তা আসে সেখানে স্থল মাইন পুঁতে রেখেছে রাশিয়া।
এছাড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে পাঠানো বাসগুলো হামলার পর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জেলেনস্কি। এ পরিস্থিতিতে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানিয়েছে পশ্চিমারা।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর ১৩ দিনে ইউক্রেনের ১৭ লাখ নাগরিক বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
শান্তি আলোচনার দিনেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মানতে হবে ইউক্রেনকে। দাবি মেনে নিলে সঙ্গে সঙ্গেই সামরিক অভিযান বন্ধ করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে হবে। ইউক্রেন ন্যাটো বা অন্য কোনো জোটের অংশ হতে পারবে না এবং সে ব্যাপারে দেশের সংবিধান সংশোধনও করতে হবে।
পেসকভ বলেন, এসব দাবি মেনে নিলে এই মুহূর্তে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধ করে দেবে রাশিয়া। তবে রাশিয়া অবশ্যই ইউক্রেনের ‘নিরস্ত্রীকরণ’ নিশ্চিত করবে।
আগামী বৃহস্পতিবার দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে তুরস্কের আনাতলিয়ায় একটি বৈঠকে বসার কথা হচ্ছে।
কেএফ/