গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসির তথাকথিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’-এ বোমা হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ফলে তাঁবুগুলোতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একের পর এক হামলার জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫০ জনে। খবর আল জাজিরার।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় অধিকাংশ প্রাণহানি ঘটেছে গাজার অবরুদ্ধ উত্তরাঞ্চলে।
আল-জাজিরার সানাদ এজেন্সির মাধ্যমে যাচাই করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হন। সেখানে দুইজনের মরদেহ বিড়ালদের খেতে দেখা যায়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী দীর্ঘ সময় উদ্ধারকাজে বাধা দিয়েছে।
এছাড়া, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজার একমাত্র কার্যকরী হাসপাতালগুলোর একটিতে হামলা চালাচ্ছে। তারা রোগীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলেও স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি প্রায় অসম্ভব।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক বলেন, আমাদের হাসপাতালে প্রায় ৪০০ জন বেসামরিক মানুষ রয়েছেন, যাদের মধ্যে নবজাতকরা অক্সিজেন ও ইনকিউবেটরের ওপর নির্ভরশীল। এই অবস্থায় হাসপাতাল খালি করা একরকম অসম্ভব।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের ‘অত্যাধিক আক্রমণ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, স্কুল ও হাসপাতালের ওপর আক্রমণ এখন নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছেন। ওই দিন হামাসের আক্রমণে ইসরায়েলে প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ জিম্মি হন।