দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে সংঘর্ষে ইসরাইলি বাহিনীর সাত সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হিব্রু ভাষার গণমাধ্যম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়, দক্ষিণ লেবাননে বিস্ফোরণের ফলে একটি ভবন ধ্বংস হয়। এ ঘটনায় সাত সেনা নিহত হন। এছাড়া আরো বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়। তবে তাদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনী অবশ্য এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
তবে এ ঘটনার আগে সর্বশেষ এক ঘোষণায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায় যে দক্ষিণ লেবাননে সংঘর্ষে ৩ জন ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১১ নভেম্বর) এক ঘোষণায় ইসরাইলি বাহিনী জানায় যে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের অন্তত ১৫ জন সেনা আহত হয়েছে। সূত্র : মেহের নিউজ এজেন্সি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৮টার কিছু আগে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। এর আগে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে বাকু ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা।
কপ২৯ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে গত সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজান যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ভাষণ দেন তিনি।
এছাড়া বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এলডিসি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাও ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রে এ সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেচিরোভিচ সাক্ষাৎ করেছেন।
এছাড়া বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এক মাস আগে জানিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মানুষের জীবনের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা। যারা জাতীয় বীর এবং যে সকল শহীদ হয়েছেন তাদের নামে স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে। এক মাসের ব্যবধানে ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের বাস্তবায়ন করা হলো।
দেশের তিনটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যেখানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করা হয়েছে।
তিন স্টেডিয়ামের প্রথমেই রয়েছে কুষ্টিয়ার শেখ কামাল স্টেডিয়াম। যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। দ্বিতীয়তে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলার স্টেডিয়াম। এটির বর্তমান নাম শহীদ মারুফ স্টেডিয়াম টাঙ্গাইল।
এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গন মাঠ, ঢাকা। যার নাম রাখা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ।
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিন মাসুম (৬২) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা রুমা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হ্যাকস ব্লেড এবং নিহত মাসুমের পরিধেয় সাফারি স্যুট উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন রুমা। তার দেয়া তথ্যমতে মাসুমের মরদেহের অন্যান্য অংশ খুঁজে পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত রুমা আক্তার ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তাতরাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে।
পুলিশ সুপার জানান, শিল্পপতি মাসুমের সঙ্গে রুমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গত ১০ নভেম্বর শেওড়াপাড়া রুমার ভাড়া বাসায় মাসুমকে প্রথমে দুধের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ চাপাতি ও হ্যাকস ব্লেড দিয়ে খণ্ড খণ্ড করে পাঠাওয়ের গাড়ি যোগে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন রুমা। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
নিহত মাসুমের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে জসিম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়ে গুলশান যান। এরপর গাড়িচালককে ছেড়ে দেন। চালককে জানিয়েছিলেন, অন্য গাড়িতে নারায়ণগঞ্জের কারখানায় যাবেন। তবে রাতে বাসায় না ফেরায় ও মোবাইল বন্ধ থাকায় পরদিন গুলশান থানায় তার বড় ছেলে জিডি করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার পূর্বাচল ৫ নম্বর সেক্টরের একটি লেকের পাড় থেকে কালো পলিথিনের ব্যাগের ভেতরে শিল্পপতি জসিম উদ্দিন মাসুমের বিচ্ছিন্ন মাথা, দুটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বুকের অংশ এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ভুরি, ফেপসা ও কলিজা একটি সাদা পলিথিনের ভেতর মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইংয়ের মালিক। তিনি রাজধানীর বসন্ধুরা আবাসিক এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।