শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বৈরুতে রাতভর ইসরায়েলের হামলা, সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এক রাতেই প্রায় ৩০ দফা বিমান হামলা চালায় তেল আবিব। পুরো বৈরুতজুড়ে শোনা গেছে এই হামলার শব্দ। এদিকে ইসরায়েলে আরও বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইরান। এ অবস্থায় সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে, যা পরবর্তীতে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে বিশ্ব জুড়ে।

এমন ইঙ্গিত মিলেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষা সচিব ও সিআইএর সাবেক প্রধান লিওন প্যানেটার বক্তব্যেও। সম্প্রতি এমএসএনবিসি রিপোর্টস-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দেন, যদি ইসরায়েল তাদের আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তবে যুদ্ধের পুরো মাত্রায় রূপ নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্যানেটা বলেন, এটি বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে যে, ইসরায়েলের বর্তমান সরকার আসলে কী চায়। গত ৭০ বছরে ইসরায়েল সামরিকভাবে কখনোই তাদের সব লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এবং এই ধারা চলমান থাকলে ভবিষ্যতের সামরিক পদক্ষেপগুলোও প্রভাবিত হতে পারে।

সবশেষ রোববারের (৬ অক্টোবর) হামলার রাতটিকে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর বৈরুতের সবচেয়ে সহিংস রাত হিসেবে আখ্যায়িত করেছে লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ।

আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলের হামলায় বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি পুরোটা কালো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে গেছে। তবে হামলায় হতাহতের বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য জানা যায়নি।

জানা গেছে, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলটি। এ কারণেই সেখানে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত সপ্তাহেই এ অঞ্চলে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে আইডিএফ সেনারা। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে তার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিএদ্দিনের ওপরও হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর থেকেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না সাফিএদ্দিনের সঙ্গে।

ইসরায়েলের তিন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানায়, গত বৃহস্পতিবার শেষ রাতে বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। হাশেম সাফিএদ্দিনের অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছিল। সেখানে তিনি ভূগর্ভস্থ একটি বাংকারে ছিলেন।

এদিকে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দখলদার ইসরায়েলের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর এবার আরও বড় হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ইরান।

বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে নাম গোপন রাখার শর্তে এক ইরানি কর্মকর্তা বলেছেন, ইহুদিবাদীদের (ইসরায়েল) সম্ভাব্য হামলার প্রয়োজনীয় জবাব সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। যদি ইসরায়েল হামলা চালায়, কোনো সন্দেহ নেই ইরান পাল্টা হামলা চালাবে।

তিনি আরও জানান, ইরানের কাছে ইসরায়েলি টার্গেটের তালিকা আছে। গত মঙ্গলবার যে হামলা চালানো হয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয়ে গেছে, ইরান চাইলে যেখানে ইচ্ছা সেখানে পৌঁছাতে পারে।

অবশ্য ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমেও দাবি করা হয়েছে, মিসাইল হামলার জবাব দিতে ইরানে ব্যাপক ও বড় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের হামলার প্রায় এক বছর পেরিয়ে ইসরায়েল বর্তমানে সাতটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে। এই সাতটি ফ্রন্টের মধ্যে রয়েছে উত্তর সীমান্তে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ, গাজায় হামাস, ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীরা, পশ্চিম তীরের ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীগুলো এবং ইরাক ও সিরিয়ায় শিয়া জঙ্গিরা।

তিনি দাবি করেন, আমরা ইরানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করছি। গত সপ্তাহে ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা।

লেবাননে হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৮ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহ প্রায় দেড় হাজার হামলা চালিয়েছে ইসরায়ালে। বিপরীতে লেবাননের ভেতরে প্রায় ৯ হাজার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

গাজা প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং আমরা ১০১ জন জিম্মিকে ভুলিনি। তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা আমাদের সব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করব।

শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানানোয় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁসহ অন্য দেশগুলোর কঠোর সমালোচনা করেছেন নেতানিয়াহু। সেইসঙ্গে বলেছেন, ইসরায়েল শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে— আমাদের নিজেদের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের এক বছরের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৪১ হাজার ৮২৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন গাজায়।

আর লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছে প্রায় সাড়ে সাত হাজার।

Header Ad
Header Ad

সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যু নিশ্চিত করল হামাস

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গত বছর ইসরাইলি হামলায় নিহত হন মোহাম্মদ দেইফ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি। এতে বলা হয়, এক বিবৃতিতে, দেইফের পাশাপাশি হামাসের উপ-সামরিক কমান্ডার মারওয়ান ইসার মৃত্যুর কথাও ঘোষণা করেছে হামাস। যদিও গত বছরের মার্চ মাসে ইসার মৃত্যুর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া গত বছরের আগস্টে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, তারা আগের মাসে দেইফকে হত্যা করেছে, কিন্তু তখন হামাস বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। ইসরাইল দাবি করেছিল, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে দেইফ অন্যতম ছিলেন। সেই হামলায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেইফকে গাজায় হামাসের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পরেই ছিল তার অবস্থান। ইয়াহিয়া সিনওয়ারও গত বছর ইসরাইলি বাহিনীর হাতে নিহত হন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা গত বছর দেইফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন, পাশাপাশি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এদিকে, ইসা হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন এবং ইসরাইলের মোস্ট-ওয়ান্টেড ব্যক্তিদের একজন হিসেবে বিবেচিত হতেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইসাকে তাদের সন্ত্রাসী কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। তারা মনে করে ৭ অক্টোবরের হামলার সাথে ইসা সরাসরি যুক্ত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফের মৃত্যু নিশ্চিত করল হামাস
প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা