ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ছবি: সংগৃহীত
শুরু হয়েছে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, স্বাভাবিক নিয়মে ১০ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ চলবে। তবে প্রয়োজনে দুই ঘণ্টা করে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো যাবে।
ভোটগ্রহণ শেষেই ভোট গণনা শুরু হবে। এরপরেই জানানো হবে ফলাফল। আগামীকাল (শনিবার, ২৯ জুন) ফলাফল ঘোষণার কথা রয়েছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে-বিদেশে মোট ৬ কোটি ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৩২১ জন ভোটার নির্বাচনে ভোট দেয়ার যোগ্য। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব বেশি হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে ভোটগ্রহণের প্রথম প্রহরেই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সকাল ৮টায় তেহরানের ইমাম খোমেনি হুসেইনিয়ায় ভোট দেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।
ভোট দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নির্বাচন একটি আনন্দের দিন। কারণ, এদিন জনগণ আগামী কয়েক বছরের জন্য তাদের সরকার প্রধানকে নির্বাচন করবেন। ইরানের শক্তিমত্তা ও সম্মান এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।
ছয়জন প্রার্থীকে নির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমোদন দেয় গার্ডিয়ান কাউন্সিল। তবে একেবারেই শেষ মুহূর্তে এসে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দুইজন প্রার্থী।
নির্বাচনের মাত্র দুদিন আগে গত বুধবার রাতে ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজিজাদেহ হাশেমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এবং অন্য প্রার্থীদেরও সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
হাসেমির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি। বৃহস্পতিবার এক এক্স বার্তায় তিনি বলেন, তিনি সরে যাচ্ছেন। হাশেমি রাইসির অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১০ লাখেরও কম ভোট পেয়ে সবার পেছনে ছিলেন।
দুই জন সরে দাঁড়ানোয় প্রার্থী থাকলো আর মাত্র চারজন। তারা হলেন মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, সাঈদ জালালি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদি।
উল্লেখ্য, ইরানে গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তার মৃত্যুর পরই উত্তরসূরি বাছাইয়ে দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।