মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইসরায়েলকে রাফায় হামলা বন্ধের আদেশ আইসিজের

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের রাফায় ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুক্রবার (২৪ মে) জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন। খবর আল জাজিরার।

আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, মার্চ মাসে আদালতের শেষ আদেশের পর থেকে রাফায় মানবিক পরিস্থিতির ‘আরো অবণতি হয়েছে’। তিনি বলেন, রাফায় মানবিক পরিস্থিতি এখন ‘বিপর্যয়কর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। আদালত নিশ্চিত নয় যে গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ইসরায়েল যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তা যথেষ্ট কি না। বিশেষ করে সম্প্রতি রাফা থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রাফায় সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি জনগণ ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

রাফায় হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে নওয়াফ সালাম বলেন, ইসরায়েলকে অবিলম্বে রাফায় সামরিক আক্রমণ বন্ধ করতে হবে। এই হামলা গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর উপর আঘাত করতে পারে। সেখানে বসবাসকারীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করবে এবং তাদের শারীরিক ধ্বংসও ডেকে আনতে পারে।

আইসিজে কর্তৃক আদেশকৃত ব্যবস্থা প্রয়োগের অগ্রগতি ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য ইসরায়েলকে রাফা সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

সাত মাসের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন অংশে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজায় এরই মধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার বেশিরভাগই নারী ও পুরুষ। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮০ হাজার।

সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী গাজার দক্ষিণ রাফায় হামলা জোরদার করেছে। এমন পরিস্থিতিতে রাফায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির কর্মকর্তারা বলেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। অবিলম্বে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রতি দিয়েছে এবং রাফা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।

বিবিসি জানিয়েছে, যেন গাজার সাধারণ মানুষের অবস্থার আর অবনতি না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এই নির্দেশনা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ

সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাউজান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে বিকেলে রাউজান উপজেলা অডিটোরিয়ামে গণ-অভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভা ও মতবিনিময়সভার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক খান তালাত মাহামুদ রাফি ও রাসেল আহমেদ। এ ছাড়া রাউজানের সমন্বয়ক, জেলার নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সমন্বয়ক দাবি করা ১২-১৫ জন হলে ঢুকে রাফির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় আরেক পক্ষ আপত্তি তুললে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ ঘটনায় রাতেই রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা হয়েছে, এমনটা দাবি করা হয়েছে অভিযোগে। রাউজান থানার ওসি এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাউজানের ছাত্র প্রতিনিধি (সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত) এম আবেদীন সাজিদ বলেন, আবদুল্লাহ আল হামিদ নামে একজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা ছাত্রলীগ ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের সদস্য।

Header Ad
Header Ad

ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ন্যূনতম সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ফখরুল বলেন, জনগণের ভাষা বুঝতে হবে সরকারকে। আমরা এখনই নির্বাচন চাই না, তবে ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই। নির্বাচিত সরকার অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন মানুষ তাদের দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে। হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত বা কাজ করে অস্থিরতা তৈরি করা যাবে না। অতিবিপ্লবী চিন্তা করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা অনুচিত।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, "সরকারের ভুলত্রুটি থাকবেই এবং দেশের অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। তবে সংস্কারের প্রস্তাবগুলো কার্যকর হলে ভালো কিছু হবে। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এগিয়ে যেতে পারলে দেশ সামনের দিকে অগ্রসর হবে।"

তিনি সবাইকে সাবধানতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ধৈর্যের অভাব থেকে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে না। পরিবর্তন ধীরে ধীরে আসবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

Header Ad
Header Ad

মার্কিন নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয়!

১৬ লাখ ভারতীয় হারাতে যাচ্ছেন মার্কিন নাগরিকত্ব। ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসী বিতারণ করতে ফেরত পাঠাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। ট্রাম্পের ওই কঠোর পদক্ষেপে মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয়। 

ইতিমধ্যে জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নীতি বাতিলের কার্যক্রম শুরু সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ নেওয়ার পরে এ–সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। আদেশটি বাস্তবায়ন হলে আর কেউ যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে জন্মসূত্রে দেশটির নাগরিকত্ব পাবেন না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের আগেই ট্রাম্প এ নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত বছর তিনি এ নীতিকে ‘হাস্যকর’ বলেন। অথচ দেড় শ বছরের পুরোনো এই নীতি দেশটিতে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনী অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী এবং নাগরিকত্বের শর্ত পূরণকারী সব ব্যক্তি দেশটির এবং যে অঙ্গরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন ওই রাজ্যের নাগরিক হবেন। ফলে শুধু নির্বাহী আদেশেই রাতারাতি এই নীতি পরিবর্তন হচ্ছে না বরং নীতি বাতিলে কার্যক্রম শুরু হলো।

পরিস্থিতি বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একঘুঁয়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে ফিরে আসবেন না। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে তিনি জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নীতি বাতিল করবেন। এতে ১৬ লাখ ভারতীয় মার্কিন নাগরিকত্ব হারাতে যাচ্ছেন।

২০২২ সালে মার্কিন আদমশুমারি বিশ্লেষণ করে দেশটির অন্যতম জরিপ প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৪৮ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান বসবাস করছেন। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ লাখের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। ফলে তারা আইনত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই আইনটি চূড়ান্তভাবে বাতিল হলে এই ১৬ লাখ ভারতীয়-আমেরিকান নাগরিকত্ব হারাবেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, এই নিয়ম বদলাতে হবে। যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নিয়ম রাখা হয় তাহলে অভিবাসনপ্রত্যাশী অনেক পরিবারের সন্তানদের রেখে তাদের বাবা-মাকে ফেরত পাঠাতে হবে। আমি পরিবারগুলোকে আলাদা করতে চাই না। কাজেই পরিবার না ভাঙার একমাত্র উপায় হলো তাদের সবাইকে একসঙ্গে ফেরত পাঠানো।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সমন্বয়ক রাফির ওপর হামলা, থানায় অভিযোগ
ন্যূনতম সংস্কার শেষে নির্বাচন চাই: মির্জা ফখরুল
মার্কিন নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন ১৬ লাখ ভারতীয়!
কোন ভিটামিনের অভাবে মহিলারা খিটখিটে হয়ে যান? পুরুষরা জেনে রাখুন
গুম-খুনে জড়িতরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না: বদিউল আলম
রিসোর্টে ঢুকে ৮ যুগলের বিয়ে দিলো গ্রামবাসী; সমালোচনার ঝড়
অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি, স্কুলছাত্রী গ্রেফতার
ভারত থেকে ৫ হাজার ৭৫ টন চাল কিনল সরকার, কেজি ৫৬ টাকা
শপথ নেয়ার পর যেসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প
হতাশ হলে গলায় দড়ি দিয়ে মরে যেতাম: তাসকিন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের সই
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভ
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন নিপুণ
ইসরায়েলপন্থি মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিলেন ট্রাম্প
ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় জড়িত ১৫০০ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দায়িত্ব নিয়েই বাইডেন আমলের ৭৮টি আদেশ বাতিল করলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের শপথ: নতুন আমেরিকার সূচনা
সুইজারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় কাউকে হয়রানি করা যাবে না : জামায়াত আমির