এবার ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ালো উত্তর কোরিয়া ও কানাডা

ছবি সংগৃহিত
মধ্যপ্রাচ্যের নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপর দখলদার ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং বলছে, তেল আবিব শিশুদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বেপরোয়া সন্ত্রাসবাদ বিশ্ববাসীর সহ্য করা উচিত নয়।
ট্রুডো আরো বলেন, কানাডা কখনো সহিংসতার সমর্থন করে না। তবে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী ও হামাস সমর্থনকারী বিক্ষোভকারীদের আলাদা চোখে দেখা হচ্ছে কি ন-এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেনি ট্রুডোর কার্যালয়।
এদিকে,কানাডায় হামাসের সমর্থনে বিক্ষোভের নিন্দা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ইসরায়েলের উপর হামাসের হামলার সমর্থনে কানাডায় যে বিক্ষোভ হয়েছে ও হচ্ছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললো উত্তর কোরিয়া। রক্তক্ষয়ী এই লড়াইয়ের জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে কিম জং উনের দেশ। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অবিরাম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিণতি এই যুদ্ধ।
উত্তর কোরিয়ায় ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত রোদং সিনমুন সংবাদপত্রে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, পুরো গাজা উপত্যকাকে ইসরায়েল কসাইখানায় পরিণত করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপক আকারে সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ফল এই সংঘাত।
একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গড়ে তোলাই এই সংকট সমাধানের মূল উপায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নিবন্ধে।
এর আগে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে চলমান সহিংসতা ও উত্তেজনার জন্য ইসরায়েল একাই দায়ী।
এছাড়া, সাম্প্রতিক সংঘাতে সৌদি আরব, ইরান, চীনের মতো দেশগুলোও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ফিলিস্তিনের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, চলমান উত্তেজনা প্রশমনে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করছে সৌদি আরব।
এছাড়া, ইসরায়েলে-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে দুটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র সমাধান বলে মন্তব্য করেছে চীন।
