হরমুজ ঘেষে ইরানের রাজধানী স্থানান্তর, বিশ্ব-রাজনীতি হাতের মুঠে নিতে যাচ্ছে ইরান?
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।
ফাতেমেহ মোহাজেরানি জানান, তেহরানে জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুতের চাপ বেড়ে গেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মাক্রানে রাজধানী স্থানান্তর করা হলে ইরান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হবে। ইতিমধ্যে রাজধানী স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের খবর অনুযায়ী, তেহরানে পরিবেশগত চাপ, জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট প্রতিদিনের সঙ্গী। তাই রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে রাজধানী হলে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল পাবে ইরান।
ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, মাক্রানে অবশ্যই আমাদের নতুন রাজধানী হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছি।
অবশ্য প্রায় তিন দশক আগেই তেহরান থেকে রাজধানী স্থানান্তরের আলোচনা শুরু হয়। ২০১০ সালেও এ বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণেই এই আলোচনার শুরু হয়।
মাক্রান অঞ্চলটি সিসস্তান ও বালিস্তান প্রদেশে অবস্থিত। যা হরমুজ প্রণালীর ঘেষা। এই প্রণালীতে বিশ্ব বানিজ্যের ৬০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ চলাচল করে। ইরান যদি কৌশলগত কারণে এই মাক্রান অঞ্চলে রাজধানী স্থানান্তর করে তাহলে বিশ্ব বানিজ্য অনেকটাই নিজেদের কবজায় নিয়ে আসতে পারবে ইরান। যা ইরানের জন্য একটি বড় মাইলফলক হবে।
ইরান সরকারের মুখপাত্র বলেন, আমাদের রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। তিন দশক ধরে এই আলোচনা চলছে। তেহরান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। প্রদেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে পানিরও তীব্র সংকট। এসব কারণেই আমরা রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।