শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হরমুজ ঘেষে ইরানের রাজধানী স্থানান্তর, বিশ্ব-রাজনীতি হাতের মুঠে নিতে যাচ্ছে ইরান?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন রাজধানী হবে উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি।

ইরানের বর্তমান রাজধানী তেহরান।

 

ফাতেমেহ মোহাজেরানি জানান, তেহরানে জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুতের চাপ বেড়ে গেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মাক্রানে রাজধানী স্থানান্তর করা হলে ইরান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান হবে। ইতিমধ্যে রাজধানী স্থানান্তরের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সিস্তান ও বালিস্তান প্রদেশ। এই প্রদেশের একটি অঞ্চলের নাম মাক্রান। 

 

ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমসের খবর অনুযায়ী, তেহরানে পরিবেশগত চাপ, জনসংখ্যা, পানি ও বিদ্যুৎ সংকট প্রতিদিনের সঙ্গী। তাই রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। উপকূলীয় মাক্রান অঞ্চলে রাজধানী হলে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুফল পাবে ইরান।

ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, মাক্রানে অবশ্যই আমাদের নতুন রাজধানী হবে। এতে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ ঘটবে। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ, অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, সমাজবিজ্ঞানী ও অর্থনীতিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছি।

অবশ্য প্রায় তিন দশক আগেই তেহরান থেকে রাজধানী স্থানান্তরের আলোচনা শুরু হয়। ২০১০ সালেও এ বিষয়ে আলোচনা উঠেছিল। পরিবেশগত ঝুঁকির কারণেই এই আলোচনার শুরু হয়।

মাক্রান অঞ্চলটি সিসস্তান ও বালিস্তান প্রদেশে অবস্থিত। যা হরমুজ প্রণালীর ঘেষা। এই প্রণালীতে বিশ্ব বানিজ্যের ৬০ শতাংশ তেলবাহী জাহাজ চলাচল করে। ইরান যদি কৌশলগত কারণে এই মাক্রান অঞ্চলে রাজধানী স্থানান্তর করে তাহলে বিশ্ব বানিজ্য অনেকটাই নিজেদের কবজায় নিয়ে আসতে পারবে ইরান। যা ইরানের জন্য একটি বড় মাইলফলক হবে।

ইরান সরকারের মুখপাত্র বলেন, আমাদের রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নতুন নয়। তিন দশক ধরে এই আলোচনা চলছে। তেহরান প্রদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়েছে। প্রদেশটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখানে পানিরও তীব্র সংকট। এসব কারণেই আমরা রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

Header Ad
Header Ad

উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ  

ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যেন থামার নাম নেই। গত কয়েকদিন ধরে চলমান উত্তেজনায় নতুন করে ঘি ঢেলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ। অন্যদিকে, বিজিবির বাধায় বিএসএফ ব্যর্থ হওয়ার পর কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় গ্রামবাসীরা একদিন নির্মাণ করেছেন দেড় কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া! যে ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে মেখলিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায়।

গত কয়েকদিন ধরেই তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারতের মাহাদিপুর ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায়। গত সোমবার (৬ জানুয়ারি) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) থ্রি-ফেজের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে গেলে শুরু হয় সমস্যার সূত্রপাত। বিতর্কিত ও বিবাদমান জমিতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে এমন অভিযোগে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিবাদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়িয়ে গেলে পরিস্থিতি ঘোলাটে আকার ধারণ করে।

বিতর্কিত স্লোগান পাল্টা স্লোগান হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়ে পড়েন সীমান্তের দুই পাড়ের বাসিন্দারা। বড় বিপত্তি হওয়ার আগেই তাদের নিরস্ত্র করে দুই পারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এরপর একাধিকবার পতাকা বৈঠকের পরেও অধরা সমাধাণসূত্র।

চলমান এই বিবাদের মধ্যেই শুক্রবার ফের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সুকদেবপুর এলাকায় থ্রি-ফেজের কাঁটাতার বেড়া দেয়ার কাজ শুরু করে বিএসএফ। তবে উদ্বেগের বিষয়, সীমান্তের এই এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গ্রামবাসীদের সহযোগিতা নিয়ে একাধিক বাঙ্কার তৈরি করেছে বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রের খবর, সীমান্তে যেকোনো রকম উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সীমান্তে গ্রামবাসীরা অবস্থান নেয়ায় পাল্টা হিসেবে শতাধিক ভারতীয়রা সুকদেবপুরের এই সীমান্ত এলাকায় লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে রীতিমতো অবস্থান নিয়েছে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর পরিস্থিতি আপাতভাবে শান্ত মনে হলেও সীমান্তের দুই পাড়ের গ্রামেই রয়েছে এখনও টানটান উত্তেজনা। এরমধ্যেই শুক্রবার বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিদর্শন করেন বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল দলের বিধায়ক চন্দনা সরকার। শাসক দলের এই বিধায়ক দাবি করেন দুই দেশের যৌথ বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সীমান্তেই বেড়া নির্মাণ করা হচ্ছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক কার্যকলাপ দেখে স্পষ্ট যে বিজিবি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক চায় না।

এদিকে, মালদা সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা তিন বিঘা করিডরের দহগ্রামে।

বিএসএফ বাধা পেয়ে সরে গেলেও সীমান্তবর্তী গ্রামবাসীদের দিয়ে অরক্ষিত অংশে কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার কাজ শুরু করে বিএসএফ। অভিযোগ, সেইসময় বিজিবি এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা সীমান্তের কাছে চলে আসে। বেড়া দেয়ার কাজে বাধা দিতে থাকে। কিন্তু, আপত্তি উপেক্ষা করে বিএসএফ আধিকারিকরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। সীমান্তে ঝামেলার খবর পেয়ে প্রচুর সংখ্যায় গ্রামবাসী সেখানে জমায়েত হয়। তারাও কাঁটাতারের বেড়া দিতে সাহায্য করে।

বিএসএফ সূত্রের খবর, ওই অঞ্চলে অরক্ষিত দেড়কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হয়েছে। এখনও দু’কিলোমিটার অঞ্চলে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া বাকি রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

দিনাজপুরের বিরামপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে পলিপ্রয়াগপুর মৎসচাষী সমবায় সমিতি'র আয়োজনে উপজেলার টাটকপুর গ্রামের মাঠে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ।

বিপুল সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে দিনাজপুর জেলার কয়েকটি উপজেলা থেকে আগত ঘোড় সওয়ারী ঘোড়া নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় সমাজ সেবক এ‍্যাডভোকেট শাহরিয়ার ফিরোজ শুভ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ঘোড় সওয়ারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

৩টি ক‍্যাটাগরিতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ ক‍্যাটাগরিতে ঘোড়ঘাট উপজেলার ঘোড় সওয়ারী আবীর ১ম হয়ে একটি খাসি পুরস্কার জিতেন এবং এতে চিরিবন্দর উপজেলার ঘোড় সওয়ারী আশিকুর ২য় হন। বি ক‍্যাটাগরিতে ঘোড়াঘাট উপজেলার ঘোড় সওয়ারী আনোয়ার হোসেন ১ম ও মতলুবুর ২য় হন। সি ক‍্যাটাগরিতে চিরিরবন্দর উপজেলার ঘোড় সওয়ারী শাহরিয়ার ১ম ও হাসান আলী ২য় হন।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা 

টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা। ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার উদ্যােগে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহবায়ক আল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, টাঙ্গাইল আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুহম্মদ আজিজুল হক, সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইলের ৯ জন নিহত এবং ২০৬ জন আহত হয়। তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ  
দিনাজপুরের বিরামপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা
টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা 
মাহফিলে যোগ দিতে সিলেটে মিজানুর রহমান আজহারি
২০০ আসন পেলেও বিএনপি একা সরকার গঠন করবে না: আমীর খসরু  
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণ পেলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশীদের লক্ষ্য করে সীমান্তে গুলি ছুড়েছে বিএসএফ
বসুন্ধরার মালিককে নিজ হাতে কেক খাইয়ে তোপের মুখে শফিক রেহমান
হরমুজ ঘেষে ইরানের রাজধানী স্থানান্তর, বিশ্ব-রাজনীতি হাতের মুঠে নিতে যাচ্ছে ইরান?
‘শিক্ষকরা রাজনীতিতে জড়াতে পারবেন না’
২৪ বছর বয়সেই ফুটবল ক্লাবের মালিক হচ্ছেন ভিনিসিয়ুস!
অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের কথা বোঝে না: মান্না  
বিসিএসে বাদ পড়া ২৬৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন
ফ্যাসিস্ট শক্তি জয়ী হলে ২ লাখ মানুষকে জেলে যেতে হতো: শফিকুল আলম
খেলাফত মজলিসের নতুন আমির মামুনুল হক  
মেস থেকে রুয়েট ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
মক্কায় এসেছি, তবুও বাজে মন্তব্য করছে মানুষ: নিলয়
যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে নেতানিয়াহু: হামাস  
নিক্সন চৌধুরীকে গ্রেফতারের গুঞ্জন, যা জানা গেল
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ: রিজভী