সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভোটে মোদির চেয়ে বেশি ব্যবধানে জিতেছেন ২২৪ প্রার্থী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফল বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে কিন্তু তার সবকটিরই কেন্দ্রে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি। তার কারণ, বিজেপি এই নির্বাচন তারই নামে লড়েছে। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে লাগাতার তৃতীয়বার জিতে তিনি সংসদে পৌঁছেছেন। কিন্তু ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ওই একই আসন থেকে লড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে মোদির ঝুলিতে থাকা ভোটের ব্যবধান অন্যান্য বারের তুলনায় কম।

২০১৯ গত লোকসভা ভোটে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন, যা এইবার কমে ১ লক্ষ ৫২ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে মোদির বিপরীতে দাঁড়ানো কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৫৭টি ভোট। আর নরেন্দ্র মোদির ঝুলিতে রয়েছে ৬ লক্ষ ১২ হাজার ৯৭০টি ভোট।

ভোটের এই ব্যবধান এভাবেও বিশ্লেষণ করা যেতে পারে যে, লোকসভার ৫৪২টি (বাকি একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন বিজেপির মুকেশ কুমার চন্দ্রকান্ত দালাল) আসনের মধ্যে ২২৪টি আসনে জয়ী প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রী মোদির থেকেও আরও কতটা বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

এই ২২৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১১২টি এমন আসন রয়েছে যেখানে অন্য দলের প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান বারাণসীতে মোদির জয়ের মার্জিনের চেয়ে বেশি। আবার বিজেপিরও এমন ১১২ জন প্রার্থী রয়েছেন যারা নরেন্দ্র মোদির তুলনায় বড় ব্যবধানে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

এদিকে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৫২টি আসন পেলেও এইবার সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯তে। দলের নেতা রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি এবং কেরালার ওয়ানাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এই দুটি আসনেই রাহুল গান্ধী তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিন লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন।

বিরোধী দলের অনেক পরিচিত নেতাই আছেন যারা এই লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। জিতেছেন বড় ভোটের ব্যবধানেও। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাইপো ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক ব্যানার্জী ডায়মন্ড হারবার আসনে ৭ লক্ষ ১০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

এই একই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকে নেতা এম কে কানিমোঝি, এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ ইয়াদব, আম আদমি পার্টির নেতা গুরমিত সিং, ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সুপ্রিয়া সুলে এবং কয়েকজন নির্দলীয় প্রার্থীও।

নরেন্দ্র মোদি বনাম বিজেপির অন্য প্রার্থীরা:

গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই এমন একাধিক নেতা রয়েছেন যারা নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন এবং একই সঙ্গে তাদের নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে ভোটের ব্যবধানও বড়। এই তালিকায় ১১২ জন বিজেপি প্রার্থী আছেন। এই নেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে নামটা চর্চায় রয়েছে সেটা হলো মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি ওই রাজ্যের বিদিশা আসন থেকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ৮ লক্ষ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।

বিজেপির আরেক হেভি ওয়েট প্রার্থী অমিত শাহ গুজরাটের গান্ধীনগর লোকসভা আসনে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর আসনে ৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মহেশ শর্মা। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের গুনা আসনে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ভোটে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

গুজরাটের পোরবন্দর আসনে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ভোটে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়েছেন মনসুখ মাণ্ডভিয়া। আর মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর আসনে পীযূষ গোয়েল বিরোধী প্রার্থীকে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ভোটে হারিয়ে জিতেছেন। হেমা মালিনী তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ভোটে। তিনি জিতেছেন উত্তরপ্রদেশের মথুরা আসন থেকে।

নরেন্দ্র মোদি বনাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী:

জওহরলাল নেহরু ছাড়া ভারতের আর কোনও প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার নির্বাচনে জিততে পারেননি। ভারতে এখন পর্যন্ত ১৮টি লোকসভা নির্বাচন হয়েছে এবং নরেন্দ্র মোদীসহ ১৪ জন দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। জওহরলাল নেহরুই একমাত্র নেতা যিনি এই দেশে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন ছিলেন। ভারতের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও প্রায় ১৬ বছর এই পদে ছিলেন। এছাড়া মনমোহন সিংও ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জওহরলাল নেহরু যেবার তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হন, সেই বছর নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর লোকসভা আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৩৩.৪৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন।

এখানে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান শতাংশের নিরিখে তুলনা করা হচ্ছে কারণ ভোটারের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। যার অর্থ হলো জওহরলাল নেহরুর জমানায় একটা নির্বাচনি কেন্দ্রে যতজন ভোট দিতেন তার তুলনায় এখন একটা কেন্দ্রে বহুগুণ বেশি ভোটার রয়েছে।

১৯৮০ সালে ইন্দিরা গান্ধী তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন। ওই লোকসভা নির্বাচনে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের মেদক আসন থেকে ভোটে লড়েছিলেন। সেই সময় তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৪৯.৩৫ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন।

প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অটলবিহারী বাজপেয়ীও তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি জওহরলাল নেহরু বা নরেন্দ্র মোদির মতো পরপর তিনটে নির্বাচনে জিততে পারেননি। যে বার তৃতীয় দফায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, সেইবার অটলবিহারী বাজপেয়ী লক্ষ্ণৌ আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১৬.৩৯ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি।

এবার নরেন্দ্র মোদি এই লোকসভা নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৩.৪৯ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।

তবে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন কংগ্রেসের রকিবুল হুসেন। আসামের ধুবড়ী আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রার্থী বদরুদ্দিন আজমলকে ১০ লক্ষ ১২ হাজার ৪৭৬ ভোটে পরাজিত করেছেন।

এই প্রসঙ্গে একটা বিষয় উল্লেখ করতেই হয়, এবং সেটা হলো মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জয়ী প্রার্থীর পর দুই নম্বরে রয়েছে 'নোটা' বা নান অফ দ্য অ্যাবাভ। এই আসনের ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। এটিই দেশের একমাত্র আসন, যেখানে ২ লাখ ১৮ হাজার ৬৭৪ জন নোটার বোতাম ব্যবহার করেছেন।

একজন ভোটার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে নোটা-র বোতাম তখন ব্যবহার করেন যখন তিনি তার কেন্দ্রে যে প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন তাদের একজনকেও ভোট দিতে চান না।

ইন্দোরে জয়ী প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি এবং নোটার মধ্যে ব্যবধান ১০ লক্ষ ৮ হাজার ৭৭। তবে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কথা বলা হয়, তাহলে এই আসনে জয়ের ব্যবধান ১১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২। কারণ বহুজনসমাজ পার্টির সঞ্জয় সোলাঙ্কি পেয়েছেন ৫১ হাজার ৬৫৯টি ভোট।

আর এই লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে কম জয়ের ব্যবধান ছিল মুম্বাই উত্তর পশ্চিম আসনে। শিবসেনার রবীন্দ্র ওয়াইকার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে) অমল কীর্তিকরকে মাত্র ৪৮ ভোটে পরাজিত করেছেন। সূত্র: বিবিসি

Header Ad

ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম আঙুলের চোটে পড়ে ইতোমধ্যেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পরেছেন। টেস্ট সিরিজে না থাকলেও আশা ছিল ওয়ানডে সিরিজে ফিরবেন মুশফিক। তবে সেই আশাতেও এবার দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে চোট পুরোপুরি না সারায় মুশফিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামতে না পারার সম্ভাবনাই বেশি।

আঙুলের ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ থেকেই বাইরে ছিলেন মুশফিক। তখনই ধারণা করা হয়েছিল যে তার মাঠে ফেরা কিছুটা সময় লাগবে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মুশফিক মাঠে ফিরতে পারেন বলে জানা গেছে।

এদিকে কুঁচকির চোটের কারণে টেস্ট সিরিজ মিস করা নাজমুল হোসেন শান্তর অবস্থা অনেকটাই উন্নতির দিকে। বিসিবি সূত্র বলছে, তার চোট নিয়ে করা এমআরআই রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে ওয়ানডে সিরিজে ফিরতে পারেন তিনি।

এছাড়া গুঞ্জন রয়েছে, আবুধাবি টি-টেন লিগ শেষ করে ওয়ানডে দলে যোগ দিতে পারেন সাকিব আল হাসান। তবে বিসিবি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় এটি এখনো অনিশ্চিত।

বিসিবি চলতি সপ্তাহেই ওয়ানডে দল ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গেছে। একদিকে মুশফিকের অনুপস্থিতি, অন্যদিকে সাকিব ও শান্তর সম্ভাব্য ফেরা—এসব মিলিয়ে দলের গঠন নিয়ে আলোচনা চলছে।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কিপিং করার সময় চোট পান মুশফিক। এরপর থেকেই তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে। টেস্ট সিরিজে ফেরার আশাও ব্যর্থ হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজ দিয়েও ফেরা সম্ভব হলো না। এখন অপেক্ষা মুশফিককে চোটমুক্ত হয়ে ফের মাঠে দেখার।

Header Ad

জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-ঘোষিত এক দফায় ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবি তোলা হয়েছিল। গণ-অভ্যুত্থানের সফলতার পর নিজেরাই এ দাবি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আরও একধাপ এগিয়ে এবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধীরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখে দল গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুর মাস জানুয়ারিতেই আলোচিত নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসতে পারে।

এখনও দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি। তবে দলটি তারুণ্যনির্ভর হচ্ছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিভিন্ন জেলা সফর করেছেন। ওই সময় নতুন দল গঠনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন পরিচালনার জন্য গঠিত এই প্ল্যাটফর্মকে সাংগঠনিক রূপ দিতে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি। একই সঙ্গে গঠন করা হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি।

গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কাজ করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটি। দল গঠনের প্রক্রিয়া নিয়েও কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। তারা মনে করেন, বিপ্লব-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে মানুষ নতুন রাজনৈতিক শক্তিকে দেখতে চায়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির একটি দায়িত্বশীল সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত জানিয়েছে, জানুয়ারিকে সামনে রেখেই তাদের প্রস্তুতি চলছে। জানুয়ারিতে তারা নতুন একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নেতৃত্বে রেখেই তারা দল গঠনের চিন্তা করছেন।

সূত্রটি আরও বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের উদ্যোগেই নতুন এই দল হবে। নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা এবং বাইরের বিভিন্ন দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন হতে পারে এই দল। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনাও চলছে বলে জানা গেছে।

নতুন দল গঠন করলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকবে। প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করবে এই দুটি সংগঠন।

নাম প্রকাশ না করে জাতীয় নাগরিক কমিটির শীর্ষপর্যায়ের এক নেতা বলেন, ‘নাহিদ ইসলামকে সামনে রেখে আমরা জানুয়ারিতে দল গঠনের বিষয়ে ভাবছি। সে ক্ষেত্রে তাকে দল গঠনের আগে উপদেষ্টার পদ ছাড়তে হবে। সবকিছু চূড়ান্ত হলে আমরা আশা করি, সেটি তিনি করবেন। নাগরিক কমিটি ঢাকাসহ দেশের সব থানাপর্যায়ে কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলাপর্যায়ে কমিটি করার কাজ করছে। জানুয়ারির মধ্যেই সেটি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষপর্যায়ের আরেক নেতা প্রায় একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তারুণ্যনির্ভর দল গঠন করতে চাই। দেশের জনগণ তরুণ নেতৃত্বকেই বেছে নেবেন। তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে নাহিদ ইসলামকেই আমাদের যোগ্য মনে হয়েছে।’

জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা শুরু হয় গত সেপ্টেম্বরে। ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফল করার লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির ৫৬ সদস্যের একটি কমিটি আত্মপ্রকাশ করে।

প্রায় একই সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও বিভিন্ন জেলায় সফর শুরু করেন। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫টি জেলায় তারা কমিটি ঘোষণা করেছেন। বাকি জেলাগুলোও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটি ঢাকায় ২০টির বেশি থানাপর্যায়ের কমিটি ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার কমিটিও প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। এই কমিটিগুলো নতুন দল গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘জানুয়ারির আগে আগে আমরা সব জেলার কমিটি ঘোষণা করব।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার সেক্রেটারি আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আমাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, রাজনৈতিক দলগুলোর গতানুগতিক ধারার যে রাজনীতি, সেটা থেকে বের হয়ে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের জন্য এবং বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন, শক্তিশালী করা একই সঙ্গে মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছিলাম রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে। ইতোমধ্যে আমরা ঢাকার ২০টি জেলায় কমিটি ঘোষণা করেছি এবং অন্য জেলাগুলোর অনেক থানাপর্যায়ের কমিটি প্রস্তুত আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সে আহ্বানে সাড়া দিয়েই অভ্যুত্থানে যারা সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন, শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত সদস্য, নারী, সামাজিক, সংখ্যালঘু, কৃষক, শ্রমিকশ্রেণি এবং এলাকাভিত্তিক সব জাতিসত্তার প্রতিনিধিত্ব কমিটিতে রাখা হচ্ছে।

এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ এবং উভয়ের কাছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের প্রস্তাব পৌঁছে দিতে গত ৮ আগস্ট গঠন করা হয় লিয়াজোঁ কমিটি।

সেদিন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার আগ মুহূর্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ছয় সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি ঘোষণা করেন। লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ঠিক এক মাস পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৮ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেখানে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যদের প্রায় সবাই রয়েছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘নতুন ধরনের রাজনৈতিক শক্তি, রাজনৈতিক দল অবশ্যই প্রয়োজন আছে। পুরনো দলগুলোর নির্ধারিত রাজনৈতিক আদর্শ আছে।

২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক ভাব, রাজনৈতিক ভাষা জনগণের মধ্যে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। এই নতুন ভাবভঙ্গি, ভাষা ধারণ করবেন তারা। এটা ধারণ করার জন্য নতুন রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রয়োজন আছে এবং সেটা আমরা দেখতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে তরুণরাই ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মূল চালিকাশক্তি, সে স্পিরিট ধারণ করার যোগ্যতম দাবিদার তারাই। ফলে তারুণ্যনির্ভর নতুন রাজনৈতিক দল অবশ্যই গঠন হবে। তারা যে যেখানেই থাকুক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একত্র হয়ে নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তি বা দলে রূপান্তরিত হবেন এবং সেটা নির্বাচনের আগেই। সে ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকেই যুক্ত হবেন।’

নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানে যে তরুণ সমাজ এবং নাগরিকরা এসেছেন, ওইসময় তাদের মধ্যে একটা উদ্যোগের আকাক্সক্ষা দেখেছি। তারা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্য দিয়ে দেশ পুনর্গঠন চান।

সেই পুনর্গঠন ও উদ্যোগকে ফ্যাসিলিটেট করার জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। আমরা এর মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গোছাচ্ছি। ঢাকায় আমাদের ৫০ শতাংশ কমিটি গোছানো শেষ। সারা দেশেই কমিটি ঘোষণার কাজ চলমান।’

রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি জনগণের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের আকাক্সক্ষা ছিল, সেটি তীব্র থেকে তীব্র হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা আশা করি, আগামী এক দুই মাস পরই বাংলাদেশের মানুষের সামনে সুন্দরভাবে কোনো দলের বাস্তব রূপ আমরা দেখতে পাব।

এটি জাতীয় নাগরিক কমিটির একক কোনো উদ্যোগ নয়, এটা তরুণদের উদ্যোগ। জাতীয় নাগরিক কমিটি সে উদ্যোগকে ফ্যাসিলিটেট করবে। আমাদের একটা আকাক্সক্ষা, নতুন রাজনৈতিক দল শহীদ ও আহতদের যে আকাঙ্ক্ষা সে স্পিরিটটা তাদের ধারণ করতে হবে।’

সূত্র: দেশ রূপান্তর

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক
জানুয়ারিতে আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল
বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান