শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণ করবে দুবাই, যা যা থাকবে?

ছবি সংগৃহিত

আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনালের কাজ শেষ হয়ে গেলে এটি বছরে ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীর পাশাপাশি ১২ মিলিয়ন টন মালামাল পরিবহণ করতে সক্ষম হব। এক দশকেরও বেশি আগে দুবাই প্রথমবারের মত বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর হিসেবে আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনালের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল।

২০১৩ সালের অক্টোবরে বুদাপেস্ট থেকে আগত উইজ এয়ার এ৩২০ প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট হিসেবে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (যা দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল নামেও পরিচিত) পৌঁছে খবরের শিরোনাম হয়েছিল।

দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত নতুন এই 'গ্রিনফিল্ড' বিমানবন্দরটিকে ভবিষ্যতে বিশ্বের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর বানানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল (ডিএক্সবি) এবং নতুন বিমানবন্দরটি পরিচালনার দায়িত্বে আছে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনালের কাজ শেষ হয়ে গেলে এটি বছরে ১৬০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীর পাশাপাশি ১২ মিলিয়ন টন মালামাল পরিবহণ করতে সক্ষম হবে। .

এটি বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হবে যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা ইন্টারন্যাশনালের তুলনায় প্রায় ৬৩ মিলিয়ন বেশি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে।

প্রাথমিক যাত্রীবাহী ফ্লাইটের প্রায় এক দশক পরে এবং মহামারির জন্য ১৩ বছর পরেও দুবাইয়ের নতুন বিমানবন্দরটির কাজ এখনো চলমান।

'ভবিষ্যতের এয়ারপোর্ট'

২০২৩ সালে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত 'দুবাই এয়ার শো' বিমানবন্দরটি সম্পর্ক কিছু চমকপ্রদ ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি এটার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা কৌতূহলও তৈরি করতে সক্ষম হয়।

দুবাই বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী পরিচালক পল গ্রিফিথস সিএনএনকে জানিয়েছেন, "আমরা আমাদের গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা এবং পরিকল্পনা মেটাতে ডিএক্সবিকে সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সকল সম্ভাব্যতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলতে থাকবে।"

গ্রিফিথস আরো জানিয়েছেন, "পরিকল্পনা হল, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং মাধ্যমে ডিএক্সবির বর্তমান ক্ষমতা সর্বাধিক করা।"

তিনি বলেছেন, ডিএক্সবির বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে সেটিকে ১২০ মিলিয়নে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো বলেন, "আমরা আমাদের বিমানবন্দরকে আরও বড় করে তুলছি কারণ আরও বেশি লোক এটি ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। ২০২৩ সালে আমাদের ধারণা অনুযায়ী প্রায় ৮৬.৮ মিলিয়ন মানুষ এটি ব্যবহার করেছে। আমরা ধারণা করছি, ২০২৪ সালে প্রায় ৮৮.২ মিলিয়ন এবং ২০২৫ সালে প্রায় ৯৩.৮ মিলিয়ন যাত্রী এটি ব্যবহার করবে।"

গ্রিফিথস নির্দিষ্ট কোন সময়ের কথা না বললেও জানিয়েছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ নতুন বিমানবন্দরের প্রয়োজন হতে পারে অধিক ব্যস্ততার জন্য। তিনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার পাশাপাশি এটিকে 'রোমাঞ্চকর সম্ভাবনা' বলে অভিহিত করেছেন।

দুবাই এয়ার শোতে গ্রিফিথস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা ইতোমধ্যেই নতুন বিমানবন্দরের জন্য ডিজাইন তৈরি করেছেন। এয়ার শোতে সবাইকে বিমানবন্দরের যে বড় মডেলটি দেখানো হয়েছিল, সেটি কিছুটা পুরনো হলেও সেটি থেকে নতুন বিমানবন্দরে ছয়টি রানওয়ে এবং তিনটি বড় টার্মিনাল থাকার বিষয়ে ধারণা পাওয়া যায়।

নতুন বিজনেস মডেলের আবির্ভাব

বিমানবন্দরটি দুবাই সাউথ নামে একটি বড় প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু হবে। প্রকল্প অনুযায়ী, দুবাইয়ের ঠিক দক্ষিণে মরুভূমির ১৪৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে একটি সম্পূর্ণ নতুন শহর তৈরি করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

এই নতুন পরিকল্পনার কিছু অংশ ইতোমধ্যেই আকার নিতে শুরু করেছে। এখানে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এলাকা মিলিয়ে আটটি অঞ্চল বানানো হবে যার প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি সহ অন্য কাজের জন্য বরাদ্দ করা

বিমানবন্দরটিকে পুরো পরিকল্পনার কেন্দ্রে রেখে একটি সম্পূর্ণ 'অ্যারোট্রোপলিস' বানানো হবে। সম্প্রতি ৯৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এমিরেটস ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টার সহ দুবাইয়ের বিমান চলাচল এবং মহাকাশ শিল্প ইকোসিস্টেমের আয়োজক মোহাম্মদ বিন রশিদ (এমবিআর) এরোস্পেস হাব এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

স্থানীয় বৃহত্তর বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস এবং এটির ছোট অংশীদার ফ্লাইদুবাই পূর্বের দুবাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে নতুন বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হলেই বড় পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপটি দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও কবে সেটি ঘটবে তা এখনো অনিশ্চিত।

ইংল্যান্ডের সারে ইউনিভার্সিটির বিমান পরিবহণ ব্যবস্থাপনার প্রোগ্রাম লিডার নাদিন ইতানির মতে, এমিরেটসের ডিডব্লিউসিতে তে স্থানান্তরিত হওয়া মানে এর সাথে অনেক কিছু স্থানান্তর করা।

তিনি বলেন, "এটি বৈশ্বিক বিমান ভ্রমণ এবং বৈশ্বিক বাজারের বদলে যাওয়া গতিশীলতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে একটি কৌশলগত পুনর্বিন্যাস"

এই অঞ্চলে বর্তমানে নতুন এবং বড় বিমানবন্দরগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য একটি প্রতিযোগিতা চলছে এবং এতে কেউ পিছিয়ে থাকতে চায় না।

এই অঞ্চলের বিমান সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের অংশ হতে চায় এবং যেই শহরকেন্দ্রিক কার্যক্রম চালায় সেই শহরকে বাণিজ্যের জন্য বড় করে তুলতে চায়৷ পাশাপাশি ভ্রমণের জন্য শহরকে একটি ভালো গন্তব্য হিসেবে প্রস্তুত করতে চায়। এর জন্য নতুন এবং চমকপ্রদ বিমানবন্দর একটি ভালো প্রচেষ্টা।

২০১৪ সালে উদ্বোধন করা কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দুবাইয়ের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী এবং এটি বার্ষিক ৬০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ করতে আগ্রহী।

এই অঞ্চলে আরো বড় বড় বিমান বন্দর চালু হয়েছে এবং অনেক বিমানবন্দরকে বেশী যাত্রী ধারণ করতে পারার জন্য নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১৮ সালে ওমানের মাস্কাটে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নতুন বিমানবন্দরের উদ্বোধন, ২০২১ সালে বাহরাইনে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নতুন টার্মিনাল তৈরি এবং সম্প্রতি ২০২৩ সালের নভেম্বরে আবুধাবির ৭ লক্ষ ৮০ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে নির্মিত নতুন টার্মিনাল 'এ' যেটি একসাথে ৭৯টি বিমান পরিচালনা করতে সক্ষম।

উপসাগরের উত্তর প্রান্তে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচারাল ফার্ম ফস্টার+পার্টনার্স দ্বারা ডিজাইন করা একটি নতুন টার্মিনাল তৈরি করছে যা প্রাথমিকভাবে প্রতি বছর ২৫ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহণ করার ক্ষমতা রাখবে। ভবিষ্যতে এটি দ্বিগুণ করে ৫০ মিলিয়ন পর্যন্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

দুবাইয়ের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলেরও কম দূরত্বে অবস্থিত শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বার্ষিক ২০ মিলিয়ন যাত্রী ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।

সৌদি আরব ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে একটি বিশাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ করছে যা দেশটির বিমান যোগাযোগকে এগিয়ে নিতে এবং এটিকে বিশ্বের শীর্ষ পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটিতে পরিণত করবে। এটি বাস্তবায়নে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।

তাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে শীর্ষ স্থানে পৌঁছানোর প্রতিযোগিতা আগের চেয়ে আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা