অবশেষে বিক্ষোভের মাঝেই শপথ নিলেন পাকিস্তানের এমপিরা
ছবি: সংগৃহীত
কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত সদস্যদের ব্যাপক হট্টগোল আর বিক্ষোভের মাঝেই অনুষ্ঠিত হলো দেশটির জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ। নির্বাচনের তিন সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির ধর্ম-ভিত্তিক রাজনৈতিক দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সাথে জোট করে সংসদে বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন পিটিআই-সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থীরা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছে পিটিআই ও অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওই নির্বাচনে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরাই দেশটির সংসদের বেশিরভাগ আসনে জয় পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও দেশটির অন্য দুই রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে গিয়ে এসআইসির সদস্যদের তুমুল হট্টগোলের মাঝে পড়েন দেশটির সম্ভাব্য নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি সংসদ কক্ষে প্রবেশ করার সাথে সাথে এসআইসির সদস্যরা ‘‘পাকিস্তানকে রক্ষা করবে কে? ইমরান খান, ইমরান খান’’ বলে স্লোগান দেন।
এসআইসির এক সদস্য সংসদ কক্ষে স্পিকারের সামনে রাখা রেজিস্ট্রারে সই করতে যান। এ সময় ‘‘ইমরান খানকে মুক্তি দিন’’ লেখা একটি পোস্টার ধরেছিলেন তিনি।
ইমরান খানের দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ও এসআইসির সদস্য ওমর আইয়ুব সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক দশকেরও বেশি সময়ের সাজার মুখোমুখি হওয়া সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের মুক্তি চাইবে এসআইসি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, দেশটিতে আগামী ৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে খাইবার-পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনের পর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাঝে বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে ইমরান খানের সমর্থকরা সরকার গঠন করবে। দর্শনার্থী গ্যালারি থেকে কিছু সদস্য কলম এবং জুতা ছুড়ে মারায় খাইবার-পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক পরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিঘ্নিত হয়।
প্রাদেশিক পরিষদের গণমাধ্যম শাখার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে ওপরের গ্যালারিতে দর্শনার্থীদের পাস বাতিল করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদের এই নিম্নকক্ষের ৩৩৬ সদস্যের সবাই শপথ গ্রহণ করেছেন। সংসদে নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ৭০ আসনের প্রার্থীদের শপথ বাকি রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, জিও নিউজ।