নাইজেরিয়ায় কৃষকদের জড়ো করে গুলি, নিহত অন্তত ৪০
ছবিঃ সংগৃহীত
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বর্নো রাজ্যে জিহাদিদের হামলায় অন্তত ৪০ জন কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই কৃষক এবং জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএল (আইএসআইএস) সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের হামলায় প্রাণ হারান তারা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বোর্নো প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৪০ জন কৃষক নিহত হয়েছেন বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার প্রদেশটির গভর্নর বাবাগানা উমারা জুলুম এবং প্রাদেশিক তথ্য কমিশনার উসমান টার বলেছেন, বোকো হারাম গোষ্ঠী এবং পশ্চিম আফ্রিকা প্রদেশের আইএসআইএল (আইএসআইএস) সহযোগীদের (আইএসডব্লিউএপি) যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
টার বলেন, দলগুলো চাদ হ্রদের তীরে দুম্বার কয়েক ডজন কৃষককে আটক করে এবং গত রোববার গভীর রাতে তাদের গুলি করে হত্যা করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে, প্রায় ৪০ জন কৃষক নিহত হয়েছেন। তবে আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পালিয়ে যাওয়া অনেককে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য খুঁজে বের করা হচ্ছে।
টার আরও বলেন, প্রাদেশিক সরকার এই অঞ্চলে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধরত সেনাদের দুম্বা এবং এর আশপাশে বিস্তৃত লেক চাদ এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করা বিদ্রোহীদের চিহ্নিত এবং নির্মূল করতে নির্দেশ দিয়েছে।
অন্যদিকে গভর্নর বাবাগানা উমারা জুলুম বেসামরিক নাগরিকদের নির্ধারিত নিরাপদ অঞ্চলের মধ্যে থাকতে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর চালানো এই হামলার তদন্তেরও আহ্বান জানান।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলছে, লেক চাদ নাইজেরিয়া, নাইজার, ক্যামেরুন এবং চাদের মধ্যে বিস্তৃত এবং এটি বোকো হারাম ও আইএসডব্লিউএপি-এর আস্তানা হিসাবে কাজ করে। আক্রমণ চালানোর জন্য এসব গোষ্ঠী এটিকে ঘাঁটি হিসাবেও ব্যবহার করে।
বোকো হারাম ২০০৯ সালে পশ্চিমা শিক্ষার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং তাদের ইসলামিক আইনের সংস্করণ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। জাতিসংঘের মতে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৩৫ হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং ২০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।