কপাল পুড়লো ভারতের, বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন

চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করল চীন। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস এক বিশেষ উদ্যোগের আওতায় ‘গ্রিন চ্যানেল’ চালু করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে চিকিৎসা ভিসা পেতে সময় ও ঝামেলা দুই-ই হবে অনেক কম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে, কারণ এতদিন বাংলাদেশি রোগীদের বড় অংশ ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালমুখী হতো।
রোববার (৪ মে) দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই উদ্যোগটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত মার্চে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে দুই দেশ।
দূতাবাস জানায়, নতুন ব্যবস্থার আওতায় চিকিৎসা ভিসার আবেদনকারীরা পূর্বের মতো বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত সনদপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পাবেন। এখন থেকে অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোই ব্যাংক ডিপোজিট সার্টিফিকেট এবং রক্তের সম্পর্কের গ্যারান্টিপত্র ইস্যু করতে পারবে, যা আবেদনকারীর প্রক্রিয়া সহজ করবে।
চিকিৎসা ভিসার আবেদন অনলাইনে জমা দেওয়া মাত্রই তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যালোচনা করা হবে। এ ছাড়াও ভিসা সেন্টারে চিকিৎসা ভিসার জন্য একটি বিশেষ কাউন্টার চালু করা হয়েছে, যেখানে আবেদনকারীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা না করেই কাগজপত্র জমা দিতে পারবেন। জরুরি রোগীদের জন্য একই দিনে ভিসা প্রদানের ব্যবস্থাও থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব রোগীর ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট রয়েছে, তাদেরকে অপেক্ষা না করিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাক্ষাৎকারের সুযোগ দেওয়া হবে। শারীরিকভাবে উপস্থিত হওয়া যাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়, তাদের ক্ষেত্রে ট্রাভেল এজেন্সির গ্যারান্টিপত্রের ভিত্তিতে অনলাইন সাক্ষাৎকারের সুবিধা রাখা হয়েছে।
চিকিৎসা ভিসা সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও সহায়তার জন্য একটি হটলাইন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে দূতাবাস ও ভিসা সেন্টার। প্রয়োজনে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে বনানীর প্রসাদ ট্রেড সেন্টারের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ভিসা আবেদন পরিষেবা কেন্দ্রে।
