শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিনামূল্যে ১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপনের রেকর্ড করলেন ডা. কামরুল ইসলাম

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক হিসেবে দেড় হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক স্পর্শ করলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। এর আগে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার সময়ে লেগেছিল ১৪ বছর। তবে এরপর আরও ৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার সময় লেগেছে ২৬ মাস। বিগত ১৬ বছর ধরে বিনামূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন মানবিক এই চিকিৎসক। তার প্রতিস্থাপনের সফলতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশের বেশি।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে স্বাধীনতা পদক সংগ্রহ করেন চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুল ইসলাম ।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় রাজধানীর শ্যামলী সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে এই মাইলফলক অর্জন করেন তিনি। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুল।

তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা যে— আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে ১৫০০ কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করতে পেরেছি। এই অর্জন আমার জন্য খুবই সম্মানের এবং গৌরবের। স্রষ্টার কাছে এর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কখনো শেষ হবে না। দোয়া করবেন যেন আমৃত্যু এই কাজটি করে যেতে পারি।

কামরুল ইসলাম বলেন, যখন আমরা কাজটা প্রথম শুরু করি, তখন আমাদের জন্য খুবই কঠিন ছিল। আমরা তখন নিশ্চিতও ছিলাম না আমাদের পরিকল্পনাগুলো আলোর মুখ দেখবে কি-না। তখন আমাদের একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে খুবই ভয় হতো। আমরা দুশ্চিন্তায় ভুগতাম যে, আমাদের কাজটা সফল হয় কি-না, কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হয় কি-না। যে কারণে প্রথম দিকে আমাদের প্রতিস্থাপনের সংখ্যা এত বেশি ছিল না।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে এক মাস-দুই মাসে একটা প্রতিস্থাপন করতাম, এমনকি সেই রোগীকে দীর্ঘদিন হাসপাতালে আমার ফলোআপে রাখতাম, যাতে সে পূর্ণ সুস্থ হয়। পরবর্তীতে যখন দেখলাম ভালোই হচ্ছে এবং কমপ্লিকেশনগুলো ওভারকাম করতে পারছি, তখন আমাদের প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়তে থাকলো। পরবর্তীতে প্রতি মাসে দুইটা, এরপর প্রতি সপ্তাহে একটা, এবং এক পর্যায়ে সপ্তাহে একাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করতে থাকলাম।

জানা গেছে, কিডনি প্রতিস্থাপনে অন্যান্য বেসরকারি হাসপাতালে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হলেও গত এক যুগ ধরে দুই লাখের আশপাশেই ছিল অধ্যাপক কামরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের কিডনি প্রতিস্থাপন ব্যয়। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১৫শ প্রতিস্থাপনের একটিতেও তিনি ব্যক্তিগত কোনো পারিশ্রমিক নেননি। এমনকি প্রতিস্থাপন পরবর্তী ফলোআপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও আমৃত্যু রোগীর কাছে নেন না কোনো ফি।

এর আগে, নিজের পারিশ্রমিক ছাড়া এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেশে-বিদেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। মানবিক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার এ সন্তান। এরপর দায়িত্ববোধ যেন আরও বেড়ে যায়। মাত্র ২৬ মাসে আরও ৫শ' কিডনি প্রতিস্থাপন করে নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙেন। কোভিডকালে সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে প্রতিস্থাপন প্রায় বন্ধ হলেও তিনি ২৫০টি কিডনি প্রতিস্থাপন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

সিকেডি অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের রেকর্ড বলছে, প্রতিস্থাপনের পর এক বছর কিডনি সচল থাকার হার ৯৪ শতাংশ। তিন বছর পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ, পাঁচ বছর পর্যন্ত ৭২ শতাংশ এবং ১০ বছর পর্যন্ত কিডনি সচল বা সুস্থ থাকার হার ৫০ শতাংশ। তরুণদের কিডনি দানের হার বেশি হলে গ্রহীতারা আরও দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকতে পারতো।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এক হাতে দেশের এক তৃতীয়াংশ কিডনি প্রতিস্থাপনের পর এখন হাসপাতালের পরিসর বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন তিনি। প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়াতে আগামীতে ক্যাডাভারিক বা ব্রেইন ডেথ রোগীর শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা প্রতিস্থাপনের দিকে বেশি নজর দিচ্ছেন এই মানবিক চিকিৎসক।

Header Ad
Header Ad

ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুসে ইসরায়েলি সেনারা হামলা চালিয়েছে। এ সময় অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিদের হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর সমাধিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নাবলুস এলাকায় অন্তত ৩০টি ইসরায়েলি সামরিক গাড়ি প্রবেশ করে। তারা ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের নিরাপত্তা দেয়। ইউসুফ (আঃ)-এর সমাধি মুসলিম এবং ইহুদি উভয়ের কাছেই সম্মানের স্থান। তবে এই স্থান নিয়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা যায়।

ওয়াফা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা রামাল্লাহর পূর্বে অবস্থিত বুরকা গ্রামে হামলা চালিয়েছে। সেখানে ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের অত্যাচার ও সহিংসতা ক্রমেই বাড়ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের তাণ্ডব বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তিতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সহিংসতা ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্থায়ী নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশ তৈরি করেছে।

Header Ad
Header Ad

ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে তার নাম দেখা যায়নি।

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বর্তমানে সারা বিশ্বের ৬,৬৫৮ জন সন্দেহভাজন অপরাধীর তালিকা রয়েছে। এর মধ্যে ৬৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তারা দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত। এসব অপরাধীর মধ্যে চাঁদপুরের রাজু ঢালীকে সিঙ্গাপুর খুনের অভিযোগে খুঁজছে। ঢাকার মো. মিলন ও লিটন ব্যাপারীকে খুঁজছে ইসতাওয়ানি, এবং দক্ষিণ আফ্রিকা খুঁজছে নোয়াখালীর মিজান মিয়াকে।

ভারত মুদ্রা জালিয়াতির অভিযোগে খুলনার আজিজুর রহমান, নোয়াখালীর সবুজসহ আরও কয়েকজনকে খুঁজছে। বেলজিয়াম খুনের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের খোরশেদ আলমকে খুঁজছে, আর মালয়েশিয়া নাটোরের সিরাজ মোস্তফাকে চোরাচালানির অভিযোগে খুঁজছে। এছাড়া যৌন নির্যাতন ও অস্ত্র মামলার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র জাহিদুল ইসলাম এবং ফজলুল আমীন জাভেদকে খুঁজছে।

বাংলাদেশ নিজেও বিভিন্ন অভিযোগে অনেক অপরাধীকে খুঁজছে। এ তালিকায় রয়েছেন বাগেরহাটের রবিউল ইসলাম, টাঙ্গাইলের তাজউদ্দীন, ঢাকার তানভীর ইসলাম জয়সহ বেশ কয়েকজন। মানবপাচারের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল ও মাদারীপুরের মোল্লা নজরুল ইসলামকে খুঁজছে। পর্নোগ্রাফির অভিযোগে টাঙ্গাইলের ওয়াসিম এবং জালিয়াতির অভিযোগে জামালপুরের আমানুল্লাহকেও খুঁজছে বাংলাদেশ।

ইন্টারপোলের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারপোল বর্তমানে ১৯৬টি দেশের মধ্যে পুলিশি সহযোগিতা ও সমন্বয় করে। কোনো দেশের অপরাধী অন্য দেশে পালিয়ে গেলে তাকে ধরতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশকে অভিযুক্তের বিস্তারিত তথ্য এবং মামলার নথি ইন্টারপোলের কাছে জমা দিতে হয়।

গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ইন্টারপোলের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ১৭ জন অভিযুক্তকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য।

Header Ad
Header Ad

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীর বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমী, পিএসসি'কে তার বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা করে বরখাস্তের পরিবর্তে ২৪ জুন ২০০৯ তারিখ হতে ভূতাপেক্ষভাবে 'অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর' প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৪ জুন ২০০৯ তারিখ হতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আজমী, পিএসসি'কে প্রযোজ্য সকল প্রকার আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ 'অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর' প্রদান করা হয়েছে।

একই সাথে ইতিপূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ জুন ২০০৯ তারিখে জারিকৃত উক্ত অফিসারের বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরদিন সন্ধান মেলে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার। আর ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট নিখোঁজ হন তিনি। ছিলেন আয়নাঘরে। সুক্তির পর সংবাদ সম্মেলনে নিজের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারে আইনি লড়াই চালাবেন বলে জানিয়েছিলেন।

সেনাবাহিনীতে মেধাবী ও চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন আবদুল্লাহিল আমান আযমী। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান
থাইল্যান্ডে নিখোঁজ হওয়া বাংলাদেশিকে পাওয়া গেল থাই নারীর সঙ্গে হোটেলে  
হাসিনার দোসররা সচিবালয়ে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড করেছে: শাকিল উজ্জামান
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়ের আইনজীবীর বৈঠক
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত: ড. মুহাম্মদ ইউনূস  
নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার আইনগত কোনো বাধা নাই
বাসের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৫  
পাঁচ সাংবাদিক বরখাস্তের জন্য সরকার দায়ী নয়: প্রেস সচিব শফিকুল আলম
জাহাজে ছেলে খুন, পুত্রশোকে বাবার মৃত্যু
ক্রীড়া উপদেষ্টা আপাতত ক্রীড়া পরিষদে অস্থায়ী অফিস করবেন
সংস্কারবিহীন নির্বাচন সম্ভব নয়: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
পানির ট্যাংকে লুকিয়েও রক্ষা পেলেন না আ’লীগ নেত্রী  
গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০
ঐক্য, সংস্কার, নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু আজ থেকে
দাঁড়িয়ে থাকা করমিনে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল ৩ জনের
জাহাজে ৭ খুন: অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে নৌযান শ্রমিকেরা