করোনায় একদিনে ২৭৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৪ হাজার
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও ২৭৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৫১৬ জন।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে বিশ্বজুড়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ৯৭ হাজার ৫১৮ জনে। আর আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬৮ হাজার ৬৭৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তাইওয়ান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রিয়া ও চিলি।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৬ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭২ হাজার ২০৬ জন মারা গেছেন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৩৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৪৬৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৩ জনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৪৭ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৯১৩ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৭১ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। অস্ট্রিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১১ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫২৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৩ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৫৬ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/