করোনায় আরও ১৩৩৪ মৃত্যু, শনাক্ত পৌনে ৪ লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭২ হাজার ৪২১ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ২০ হাজার ১১৪ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকং।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৮১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬০ হাজার ৭৯২ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৩২৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৯০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২৩ হাজার ৪৭ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২১ হাজার ৬৬৭ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ২০১ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮১ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। তাইওয়ানে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/