করোনায় প্রাণ হারালেন আরও ১১০৯ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ১৩৩ জন।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ১৭ হাজার ৪২৩ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৩৮৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, ব্রাজিল, হংকং, রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৫০৪ জন এবং মারা গেছেন ২৫৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬০ হাজার ৪১১ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২২২ জন এবং মারা গেছেন ২৪৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২১ হাজার ৬৮৫ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪১ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৫ জন এবং মারা গেছেন ১১৫ জন। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬২ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। ব্রাজিলে নতুন করে মারা গেছেন ৮২ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৩৯ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৩২ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩২ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/