করোনায় আরও ১১৭১ জনের মৃত্যু
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ১ হাজার ১৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৫১২ জন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৭ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৬ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, থাইল্যান্ড ও রোমানিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩০৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৩৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬০ হাজার ১৫৮ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪০৮ জন এবং মারা গেছেন ১০১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ২১ হাজার ২৮৩ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ১০৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০২ জন এবং মারা গেছেন ১৪৫ জন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। ব্রাজিলে নতুন করে মারা গেছেন ৪০ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৭৫২ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৭৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৭ হাজার ৩১৮ জন এবং মারা গেছেন ৪০ জন। হংকংয়ে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৬৪১ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/