করোনায় মৃত্যু আরও ৫৫৯
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪ জন।
সোমবার (২ জানুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯১৩ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৩৪২ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে হংকং, রাশিয়া ও চিলি।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৯২৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৭ হাজার ৫১৩ জন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৪৫ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩৭৬ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭ হাজার ৫২৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৩ জন। ব্রাজিলে নতুন করে মারা গেছেন ৮ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৮৪৬ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৫১ জন এবং মারা গেছেন ২৮ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৩৮৬ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/