বিশ্বে একদিনে ১২২২ মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লাখ
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২২২ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৭ জন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বৈশ্বিক পর্যায়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৮২ জনে। একই সঙ্গে মহামারি শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মারা গেছেন ৬৬ লাখ ৯৫ হাজার ৯৫৩ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, রাশিয়া, তাইওয়ান ও ফিলিপিন্সের মতো দেশগুলো।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৭৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৩২৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯১ লাখ ৫ হাজার ৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫৬ হাজার ৯৭৪ জন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৭০ জন। এ সময়ে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৭১ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৯০৪ জন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩০ হাজার ৩০২ জন এবং মারা গেছেন ১৯৫ জন। রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৮১০ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। ফ্রান্সে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩ হাজার ৮০৮ জন এবং মারা গেছেন ১১৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৫ হাজার ২০৭ জন এবং মারা গেছেন ৬৮ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৭ হাজার ৪১৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/