করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যু আরও ৫২৮
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ৫২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৭৮ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইওয়ান ও ফিলিপাইন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ২৩৭ জন এবং মারা গেছেন ২৩২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি ৭১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৩ হাজার ৩১৯ জন মারা গেছেন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৬ জন। অপরদিকে, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন কোটি ৫৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ৯১ হাজার ৮৫৪ জনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৬৬১ জন এবং মারা গেছেন দুই জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৫৯ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৬৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৬২ জন এবং মারা গেছেন ৪২ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন সাত হাজার ২২২ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ১২৩ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আরএ/