শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভোগান্তিতে রোগীরা

ভালো চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা আসছেন। তারা বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তারদের কাছে গেলে সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ে এমআরআই, এক্সরে, সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন।

কিন্তু রোগীরা ফি জমা থেকে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জায়গায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যে যার মতো আগে ঢুকে সেবা নিচ্ছেন। আর এমআরআই’র জন্য দীর্ঘ লাইন থাকলেও দিনে তিন-চারটা বেশি করা হচ্ছে না। এর ফলে কেউ সপ্তাহ কেউবা মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন রোগ বালাই সঙ্গে নিয়ে। অনিশ্চয়তার মাধ্যমে দিন পার করছেন রোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ভালো সেবার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখানে এসে পদে পদে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে আসা বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেলের নতুন বিল্ডিংয়ের রেডিওলজি বিভাগে সকাল ১০টার দিকে দেখা যায় হুইল চেয়ারে বসা কবির হোসেন, বয়স ৫৯ বছর। চুয়াডাঙ্গা থেকে এসেছেন। বিভিন্ন সমস্যার কারণে ডাক্তার সিটিস্ক্যান করতে বলেছেন। তিনি সিটি স্ক্যান করেছেন ঠিকই। তবে এজন্য অনেক বেগ পেতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী জান্নাতুন।

পাশের রুমে এমআরআই করা হচ্ছে। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা রফিকুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ‘আমার স্ত্রীকে নিয়ে পঙ্গু হাসপাতাল, বারডেম ঘুরে শেষে ভালো চিকিৎসার আশায় ঢাকা মেডিকেলে এসেছি। আমার স্ত্রী সোজাভাবে দাঁড়াতে পারে না। তাই ডাক্তারকে দেখিয়েছি। এমআরআই করতে বলেছেন। কয়েকদিন অপেক্ষা করে আজ সিরিয়াল পেয়েছি। কিন্তু ঘণ্টাখানেক হয়ে গেল, এখনো ভেতরে যেতে পারিনি।

এত দেরি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিন থেকে চারটার বেশি এমআরআই করে না। তাই অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ সময় জাহিদ নামে একজন স্টাফ বলেন, দিনে তিন-চারটার বেশি এমআরআই হয় না। সিটি স্ক্যান সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে। কিন্তু এমআরআই সেভাবে হয় না। ডাক্তারদের সুপারিশে এমআরআই করা হয় এখানে। এ ছাড়া ভর্তি রোগীদেরও করা হয়। যারা আগে থেকে সিরিয়াল দিয়েছেন তারাই সুযোগ পাবেন। টাকা জমা দিলেও এর বেশি হবে না, আবার কালকে তাদের আসতে হবে।

এ সময় কুমিল্লা থেকে আসা হাফেজা বেগম বলেন, ভালো হওয়ার জন্য ডাক্তার দেখিয়েছি। এমআরআই করতে হবে। এখানে বৃহস্পতিবার এসেছিলাম। তারা বলেছে, আজকে আসতে, এমআরআই করতে এসেছি। কিন্তু ডাকছে না এখনো। এক ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। কখন ডাকবে তাও জানিনা। এখনো টাকা জমা নেয়নি। তাই হবে কিনা জানিনা। এভাবেই দুশ্চিন্তার কথা জানান হাজেরা বেগম।

রেডিওলোজি বিভাগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হচ্ছে এক্সরে। বিভিন্ন এলাকা থেকে এক্সরে করতে এসেছেন অনেকেই। এসময় কাচপুর থেকে আসা ৬০ বছরের নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ভেতরে যেতে পারছি না। কিন্তু অনেকেই লাইনে না থেকেও ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন। ভালো চিকিৎসা করতে এসে চরম ভোগান্তি রে বাবা এখানে’।

এদিকে ভালো চিকিৎসার জন্য বিভিন্নভাবে রক্ত পরীক্ষারও নির্দেশনা দেন ডাক্তাররা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা জহির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘শনিবারে রক্ত পরীক্ষা করেছি। একদিন পরই ২০৮ রুমে রিপোর্ট দেওয়ার কথা। কিন্তু আজ সকালে এসেও কোনো রিপোর্ট পাচ্ছি না। কেচি গেটের ভেতর থেকে একবার বলছে দুপুরে, আবার বলছে বিকালে। কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছি না, কখন পাব রিপোর্ট। আসল ঘটনা কি তা বুঝা যাচ্ছে না’।

একই অভিযোগ করেন কাচপুর থেকে আসা কোহিনুরও।

ঝালকাঠি থেকে আসা আব্দুল আউয়াল বলেন, এমআরআই করতে হবে মাসখানেক হয়ে গেছে। ডেট পাচ্ছি না, অবশেষে আজ ডেট পেয়েছি। কিন্তু এখনো বাইরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আজকে পাব কিনা সন্দেহ।

এদিকে রেডিওলজি বিভাগের নিচতলায় দেখা যায়, হোসনেয়ারা বেঞ্চে শুয়ে আছেন। এক্সরে করতে হবে কিন্তু তার স্বজন লাইনে দাঁড়িয়েও সিরিয়াল পাচ্ছে না। অথচ অনেকে এসেই ‘ম্যানেজ’ করে এক্সরে করিয়ে নিচ্ছেন বলে তার মেয়ে তানিয়া অভিযোগ করেন।

এ বিভাগের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে আলট্রাসনোগ্রাম। কুমিল্লা থেকে আসা জাহিদ নামে একজন অভিযোগ করে ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, সকাল আটটায় এসে ব্যাংকের সিরিয়াল দিয়েছি। সামনে ২০ জন ছিল, টাকা জমা দিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রামের সামনে এসে দেখি ৪০ জন। এখনো আমি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। বাইরে থেকে অনেকে ভেতরে ঢুকে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি যেতে পারছি না। তার পেছনে নোয়াখালী থেকে আসা আমেনা বেগম একই অভিযোগ করে বলেন, এখানে কোনো লাইনের বালায় নাই রে বাবা। আমি বয়স্ক মানুষ তাও দাঁড়িয়ে। অনেকেই আগেই চলে যাচ্ছে। যাদের কেউ আছে মনে হয় ঢুকে পড়ছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহরিয়া হক জেরিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমাদের দুইটা এমআরআই মেশিন ছিল। একটা দুই বছর হলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পরিচালককে জানানো হয়েছে। শুনেছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও এমআরআই মেশিনের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। আপাতত একটা দিয়েই ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। দিনে ২০ থেকে ২৩টা এমআরআই করা হচ্ছে। আমাদের অন্যান্য মেশিন ভালো আছে। তাই সাধ্যমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে।

রোগীরা ঠিকমতো রিপোর্ট পান না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ডাক্তাররা ছুটিতে থাকে, অনেকে দেরিতে আসে। এ জন্য সময় মতো দিতে দেরি হয়। এ ছাড়া টেকনেশিয়ানেরও অভাবে রয়েছে। তারা সংখ্যায় বেশি থাকলে পরীক্ষা দ্রুত করা যায়। সাধারণত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রোগীর চাপ বেশি থাকে। তাই একটু ভিড় দেখা যায়। সিরিয়াল মেইনটেইন করার জন্য আনসার বাহিনী রয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেউ সেবা না পেয়ে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত